রাষ্ট্রীয় বর্ষফল ও বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্ব পরিস্থিতি: বৃর্তমান বছরে গ্রহগণের সঞ্চারাদি অনুযায়ী সমগ্র বিশ্বে শুভ ফলের চেয়ে অশুভ ফলের আশঙ্কা অনুমান করা যায়।
ভারতবর্ষ সহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে সামুদ্রিককল্লা, অতিবৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছাস, অকাল বৃষ্টি শস্যনাশ, ভূমিক্ষয়, প্লাবন তস্করাদি বৃদ্ধির যোগ দৃষ্ট হয়। মাঝে মধ্যে করোনা মহামারীতে লোকক্ষয়, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সঙ্কীর্ণ প্রাদেশিকতা, যুদ্ধের হুমকি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক মন্দা, আকাশযানাদি সংক্রান্ত দুর্ঘটনা, বিস্ফোরণ, জাতিদাঙ্গা জীবজন্তু সহ মানুনের প্রাণহানির আশঙ্কা দৃষ্ট হয়। নারী নির্যাতন, ভেজাল দুরারোগ্য ব্যাধির প্রকোপ, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, বিশ্বজুড়ে শুরু ও শনির ঘনঘন রাশি পরিবর্তনজনিত কারণে শিল্পে' ও কৃষিক্ষেত্রে মন্দা, বিভিন্ন স্থানে দুর্ভিক্ষ, ছাত্রছাত্রীদের উৎশৃঙ্খল আচরণ, কতিপর রাষ্ট্রনেতার পতন ও কোনো কোনো স্থানে উগ্রপন্থীদের দৌরায় প্রভৃতির ফলে ভারতের উত্থান পদে পদে বিঘ্নিত হবে।
![]() |
একটি দেশের রাশিফল নির্ণয় |
ভারতবর্ষ (মকররাশি):ভারতে স্বার্থের বহর নিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় বিরোধ দেখা দিতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি সবকিছুর দিকে খেয়াল রাখে, তবে খারাপ ফলের তুলনায় ভালো কিছু আশা করা যায়। দেশে করোনা মোকাবিলা, সকলের জন্য টিকার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক সমস্যা, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, রাজনৈতিক টানাপোড়েন, বিচ্ছিন্নতাবাদ, এবং নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে ভাবনা থাকতে হবে। নেতাদের মধ্যে অসমর্থন ও ভুল সিদ্ধান্তের ফলে অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে যেগুলোর মধ্যে খুন, ডাকাতি, দুর্ঘটনা সবই আছে। রেল দুর্ঘটনা, দুর্নীতি রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের চেষ্টাগুলো এবং কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যা চলে আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। বিদেশিদের অনুপ্রবেশ, বন্যা, ভূমিক্ষয়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। বেঝারব দুরীকরণের চেষ্টা মুখে বললেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। গ্রহরাজ শনি, মঙ্গল ও দেবগুরু বৃহস্পতির প্রভাবে দেশের কর্মসংস্থান হবার যোগ ও বহু বিতর্কিত বিষয় মীমাংসার দিকে নিয়ে যাবে। চীনের সঙ্গে প্রথমদিকে মনোমালিন্য হলেও পরিশেষে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মধুর হবে। দেশের পূর্ব্বে ও উত্তরাংশে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব, অতিবৃদ্ধর কারকতা, দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে খরা ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা যায়। দেশের কয়েকজন নেতার চেষ্টায় শিক্ষাক্ষেত্রে অব্যবস্থা রোধ দৃষ্ট হয়। দেশের কয়েকজন নেতা-নেত্রী, বেশ কিছু লেখকের, কতিপয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর, রাজনৈতিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তির জীবনহানির আশঙ্কা দেখা যায়।
পশ্চিমবঙ্গ (মেষরাশি): বর্তমান যছরে এই রাজ্যকে নানা জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। একাধিক উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা ব্যাহত হবে। রাজনৈতিক আন্দোলনে খুনোখুনি, গুপ্তহত্যা বৃদ্ধি গেতে পারে। কোবিদ-১৯ মহামারীতে মাঝে মধ্যে। লোকক্ষয় যোগ দেখা যায়। চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, রাজ্যে বৃহৎ আকার নেবে। তবে রাজ্য সরকার এ রাজ্যে দলমত নির্বিশেবে। সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং কোবিদ-১৯ মহামারীতে লোকক্ষয় রোধ করতে বদ্ধপরিকর। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যা। এসে রাজ্যকে চিন্তায় ফেলে দেবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, পেট্রোলজাত দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, বন্যা ও খরা প্রভৃতিতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা। রাজ্যের অর্থনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি, কাগজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি, সংস্কৃতি, নগর ও গ্রামোন্নয়ন, পরিবহন শিল্প, বিদ্যুৎ প্রভৃতি। ক্ষেত্রে আশাপ্রদ উন্নতির সম্ভাবনা দৃষ্ট হয়। দেশের নানাস্থানে জনবিক্ষোভ, শ্রমিক আন্দোলন, পারস্পরিক মতানৈক্য, শাস্তি ও শৃঙ্খলতার অভাব, কোবিদ-১৯ মহামারী রোগ, ডেঙ্গির প্রকোপ সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর সজাগদৃষ্টিতে তার সমাধানের চেষ্টা থাকবে। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য এ রাজ্যের জনজীবন ক্রমশই বিপর্যস্ত হয়ে উঠবে। জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ক্রমশই যেন জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। এ রাজ্যে কিছু শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং রাজনীতিবিদের জীবনহানির যোগ দেখা যায়।
ত্রিপুরাঃ বর্তমান সরকার কোবিদ-১৯ অতিমারী প্রভাব কাটলেও রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা ও রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। দেশি ও বিদেশি সহযোগিতায় শিল্পস্থাপনের সুযোগ আসতে পারে। এই সরকার প্রতিরক্ষা, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, রাজনৈতিক সমস্যার সমাসাধনের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
অসমঃ বর্তমান বছরে রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গিহানা রাজ্যকে অস্থির করে তুলবে। বেকারত্ব বৃদ্ধি, নাগরিকত্ব আইন সরকারকে অনেকটা বিব্রত করে তুলেছে। ভূমিকম্প, জলোচ্ছাস, ঝড় প্রভৃতির কারণে রাজ্যকে সর্বদাই ভাবিয়ে তুলবে। কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনাবসানের যোগ দৃষ্ট হয়।
বাংলাদেশ (মেষরাশি)। এ বছর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে স্থিতিশীল থাকবে না। বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দেশের মহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও কোবিদ-১৯-এ জীবনহানির আশঙ্কা করা যায়। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও জল বণ্টনের সমস্যা চুক্তির মাধ্যমে দুরীভূত হবে। আমেরিকা, ইউরোপের কয়েকটি দেশের থেকে আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য দেশের আর্ধিক উন্নতিকে চাঙ্গা করে তুলবে। সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় না করলে দেশকে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।
পাকিস্তান (মেষ ও মকররাশি)। বর্তমান বছরে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা। সামাজিক বিপর্যয় চূড়ান্তভাবে দেখা দেবে। তালিবান উগ্রপন্থী হামলা, মৌলবাদী সংগঠনগুলির চধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সরকারকে সর্বদা বিব্রত রাখবে। ভারতের সঙ্গে মুখে একরকম ভালো কথা বললেও কাজে অন্যরকম ভাব দেখা দেবে। সর্বদাউগ্রপন্থীদের জঙ্গি মনোভাব বৃদ্ধি পেতে থাকবে। কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা কিছুতেই মেটাবে না বরং অশান্ত করে তোলার চেষ্টা সদা তৎপরতা-দেখাবে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা খুন রাহাজানি লেগেই থাকবে। এককথায় দেশের অবস্থা শোচনীয় খারাপ হবে। বেশ কয়েকজন নেতার জীবনহানির যোগ দেখা যায়।
চীন (তুলারাশি): বর্তমান বছরে স্বর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা। ফলে উগ্রপন্থীদের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে। প্রশাসনিক রদবদল হওয়ার যোগ। ব্যবসা-বাণিজ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখতে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং প্রচুর অর্থ লাভ করবে। শিল্প বাণিজ্যে উন্নতি হলেও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। পাকিস্তানকে অস্ত্রপ্রদান ও আর্থিক সহযোগিতা সহ ভারত-বিরোধিতায় ইন্ধন যোগানোর রাস্তা চালিয়ে যাবে। চিকিৎসাশাস্ত্র, মহাকাশবিজ্ঞান ও খেলাধুলার অনেক উন্নতি করবে।
রাশিয়া (কুম্ভরাশি): বর্তমান বছরে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলেও সামরিক অর্থনীতির উপর বিশেষ জোর দেবে এবং এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সামরিক অস্ত্র বিক্রয়ের প্রচেষ্টা বাড়াবে, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি হওয়ায় জনগণের দুর্দশার শেষ থাকবে না। পার্শ্ববর্তী দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ লেগেই থাকবে এবং জনগণকে ভীত সন্ত্রান্ত হয়ে থাকতে হবে। শিল্পবাণিজ্যে উন্নতি লাভ করবে। ভূমিকম্প, ঝড়, বন্যা, কোবিদ-১৯ মহামারী প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞান, মহাকাশ অভিযানও ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে। ভারতের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক অটুট থাকবে।
আমেরিকা (মকর ও কর্কটরাশি): বর্তমান বছরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি লাভ করবে। শিল্পবাণিজ্যে মন্দাভাব কাটিয়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব বৃদ্ধির ফলে জনগণের অসন্তোষ বেড়েই চলবে। সামরিক ক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে। ভারতের সঙ্গে পরমাণু ও প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে মত বিনিময় হলেও কয়েকটি বিষয়ে উন্নতি হবার যোগ দুষ্ট হয়। মহাকাশবিজ্ঞান ও চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রভূত সাফল্য আসবে। ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের মান অক্ষুন্ন থাকবে। কোবিদ-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে শিল্পবাণিজ্যে অগ্রগতির ধারা এবং শিক্ষায় উন্নতির যোগ দেখা যায়।
টিকটিকি পতনের ফলাফল
১। মাথায় টিকটিকি পড়লে রাজ্যলাভ বা রাজতুল্য সুখলাভ বুঝায়। ২। কানে টিকটিকি পড়লে অলঙ্কারাদি লাভ হয়ে থাকে। ৩। বুকের পাঁজরে ও চোখে টিকটিকি পড়লে বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎকার হয়। ৪। নাকে টিকটিকি পড়লে সুগন্ধিত বস্তু লাভ হয়ে থাকে। ৫। মুখে টিকটিকি পড়লে মিষ্টদ্রব্য আহার হয়। ৬। কণ্ঠে টিকটিকি পড়লে অর্থাগম হয়। ৭। যে কোনও বাহুতে টিকটিকি পড়লে মানসিক আনন্দ লাভ হয়। ৮। হাতে বা করতলে টিকটিকি পড়লে অর্থলাভ হয়ে থাকে। ৯। হৃদয়ে টিকটিকি পড়লে সোহাগ বৃদ্ধি পায় বা সোহাগ লাভ হয়। ১০। পিঠে টিকটিকি পড়লে ভূ-সম্পত্তি লাভ হয়। ১১। কোমরে টিকটিকি পড়লে নতুন বস্ত্রাদি লাভ হয়। ১২। শুহ্যদ্বারে টিকটিকি পড়লে মৃত্যুভয়। ১৩। জানুদেশে টিকটিকি পড়লে অর্থক্ষয় হয়। ১৪। ওপর থেকে যদি সামনে টিকটিকি পড়ে তবে যান-বাহনাদি লাভ হয়। ১৫। পায়ের ওপর টিকটিকি পড়লে দেশ ভ্রমণ হয়। ১৬। পায়ের তলা থেকে উর্ধ্বদিকে টিকটিকি পড়লে অমঙ্গল সূচনা করে।
যতুকতত্ত্ব (সুব্রহ্মণ্য হইতে)
মুখের বামভাগে যতুক থাকিলে সুখী ও ধীর হয়। দক্ষিণভাগে- সম্মান ও রাজবৎ সুখী। বামহস্তের কনুইয়ের ওপর-দুঃখী। কনুইয়ের নীচে-অভিভাষী। দক্ষিণ হস্তের কনুইয়ের উপর-নিন্দিত চরিত্র। কনুইয়ের নীচে-কামুক। বামবক্ষে-পরধনলাভে গর্বিত। দক্ষিণবক্ষে-মূর্ষ ও ও পাপী। নেয়ে-হীন দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন বুদ্ধিমান ও দাতা। ফরতলে-অঋণী ও অগ্রবাসী। পদতলে ধননাশকারী ও অর্ধমূর্খ। পায়ে-পীড়িত ও অসুখী। জননেন্দ্রিয়ে-কামুক ও নিন্দিত চরিত্র। উরুতে নষ্ট চরিত্র ও পরদারলোভী। বামপাদমূলে অজ্ঞ, অশিক্ষিত। দক্ষিণপাদমূলে ভ্রমণশীল। কর্ণে-শ্রুতিধর ও সুভাষী। কটিদেশে-দৈহিক পীড়ায় কাতর ও সর্বদা অসুখী। নিতম্বে অস্বাভাবিক অভিগমনপ্রিয়। পৃষ্ঠে-দাতা, ধীর ও শান্ত। জানুতে বলিষ্ঠ, ভোক্তা ও পরোপকারী।
হাতের তালুতে বিভিন্ন স্থানে তিল।
শুক্রের ক্ষেত্রে তিল অসৎচরিত্র নারী-পুরুষ বিষয়, পরপরীর প্রতি মোহের জন্য কলংক, অর্থনাশ। বৃহস্পতির ক্ষেত্রে তিল থাকলে ধর্মগথে বাধা, অভাব, চাকুরী ও ব্যবসায়ে অশান্তি। শনির ক্ষেত্রে তিল থাকলে নানা জটিল ব্যাধি, পিতার সঙ্গে বিবাদ। রবির ক্ষেত্রে তিল থাকলে নানা দুর্নাম, অপযশ, সম্মানহানি। বুধের ক্ষেত্রে তিল থাকলে বিদ্যাহানি, পুত্রশোক, বুদ্ধিহানি। মঙ্গলের ক্ষেত্রে তিল থাকলে মামলা, শত্রুক্রবৃদ্ধি, দুর্ঘটনা। আয়ুয়েখাতে তিল থাকলে মৃত্যুভয়। শিরোরেখায় তিল। থাকলে উন্মাদ ভাব ও হত্যাকারী। হৃদয়রেখায় তিল থাকলে নির্দয়তা ও মনের নিঃসঙ্গতা। চন্দ্রের ক্ষেত্রে তিল থাকলে মিথ্যা কলংক, নিম্নবর্ণ নারীর সঙ্গে সম্ভোগ।
তিথি বিশেষে নিষিদ্ধ ভক্ষ্য
প্রতিপদে-কুষ্মাণ্ড। দ্বিতীয়ায় বৃহতী। তৃতীয়ায় পটোল। চতুর্থীতে মূলা। পঞ্চমীতে-বেল। ষষ্ঠীতে নিম। সপ্তমীতে-তাল। অষ্টমীতে-নারিকেল। নবমীতে-লাউ। দশমীতে-কলমীশাক। একাদশীতে-শিম দ্বাদশীতে পুঁইশাক। ত্রয়োদশীতে-বেগুন। চতুদশীতে মাষকলাই। অষ্টমী, চতুদশী, পূর্ণিমা, অমাবস্যা ও সংক্রান্তিতে স্ত্রী, তৈল, মৎস্য, মাংসাদি সম্ভোগ নিষেধ।