দামোদর মাসের মাহাত্ম্য
বৈষ্ণব বা গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের কাছে কার্তিক মাসকে বলা হয় দামোদর মাস।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দামোদর মাস বা কার্তিক মাস এক অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই মাসটি ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গীকৃত বলেই একে বিষ্ণুর মাস বলা হয়। হিন্দু ধর্মে এটি ত্যাগ, ভক্তি ও আত্মশুদ্ধির মাস হিসেবে বিবেচিত। শাস্ত্র অনুযায়ী, এই মাসে ভগবানের প্রতি সামান্য সেবাও অসীম পুণ্য ও আশীর্বাদ নিয়ে আসে। তাই তো কার্তিক মাস জুড়ে ভক্তরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় মন্দিরে কিংবা তুলসী গাছের তলায় দীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন ভগবানের কৃপা লাভের আশায়।
দামোদর মাস সম্পর্কে কিছু গ্রন্থের ব্যাখ্যা সমূহঃ
এই পূণ্য মাসকে ঘিরে পদ্মপুরাণ, ভাগবতপুরাণ, স্কন্ধপুরাণ ও শ্রীহরিভক্তিবিলাস-এর মতো বহু প্রাচীন শাস্ত্রে রয়েছে বিস্তর উল্লেখ ও গৌরবের বর্ণনা।
পদ্মপুরাণে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—এই মাসে যদি কেউ ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে একটি মাত্র প্রদীপ দান করেন, তাহলে তার সমস্ত পাপ ধুয়ে যাবে এবং তাকে আর পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হবে না। তিনি সংসারে প্রতিষ্ঠা করবেন অজেয় এবং অক্ষয় কীর্তি। এই সময়ে নিরবিচারে প্রদীপ জ্বালানো বিশেষ শুভ। মাটির প্রদীপ ব্যবহার করলে তা আরও ফলদায়ক হয়। প্রদীপে সলিতা (বাতাসা) ও ঘি, তিলের তেল বা খাঁটি কর্পূরের ব্যবহার করা উচিত। কৃত্রিম বা বাজারি ঘি ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। প্রদীপের আলো যেমন চারপাশের অন্ধকার দূর করে, তেমনি ভক্তি আর জ্ঞানের আলো মানুষের অন্তরের সমস্ত পাপ মুছে দেয়, পথ দেখায় মুক্তির দিকে। অর্থাত্,প্রদীপের আলোর শিখা যত উজ্জ্বল হতে থাকবে,ততই তারপাপ ক্ষয় হতে থাকবে। স্কন্ধ পুরাণে বলা হয়েছে,এই মাসে যেপ্রদীপ দান না করে তারা ব্রহ্মঘাতী,গোঘাতী,স্বর্ণ অপহারী ও সদা মিথ্যাবাদী। দামোদর মাসে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তার মাতৃস্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ হন। পৌরাণিক কাহিনী মতে, কলিপ্রিয়াতার স্বামীকে বধ করেছিল এবং তার ভুল বুঝতে পেরে সে নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্তেরজন্য এই দীপ দান করেন। এই পবিত্র মাসে দীপ দানের জন্য তিনি দেহান্তে বিষ্ণুলোক প্রাপ্তহন। একবার, একটি স্ত্রী ইঁদুর প্রদীপের তেল খেতে এসে না বুঝেই প্রদীপের সলিতাকে ছুঁয়ে দেয়, যার ফলে সেই সলিতা আরো ভালোভাবে জ্বলে ওঠে। এই অনিচ্ছাকৃত সেবার ফলস্বরূপ, মৃত্যুর পর সেই ইঁদুরও বৈকুন্ঠ লাভ করে। পূজার সময় ভগবান বিষ্ণুর চিত্র বা বিগ্রহে প্রদীপ ঘোরানোর নিয়ম রয়েছে—প্রথমে চরণে চারবার, নাভি-কমলের কাছে দুইবার, মুখমণ্ডলে তিনবার এবং সবশেষে ডানদিক থেকে শুরু করে সারা দেহে সাতবার প্রদীপ প্রদক্ষিণ করতে হয়। বিশেষ করে দামোদর মাসে যদি কেউ সম্পূর্ণ ভক্তি, বিশ্বাস ও প্রেমসহকারে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করেন, তাহলে মৃত্যুর পর তিনি মুক্তি তথা বৈকুন্ঠধাম লাভ করেন।
![]() |
দামোদর মাসের মাহাত্ম্য |
অতএব, দামোদর মাসে অন্তত একটি প্রদীপ ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে জ্বালুন। এই মাসে মাষকলাই, বেগুন, বরবটি ও শিম খাওয়া বর্জন করুন। দামোদর মাসের ব্রত পালন করে ভগবানের বিশেষ কৃপা লাভ করুন এবং আপনার জীবনকে পবিত্র করুন। স্কন্দপুরাণে ব্রহ্মা ও নারদ মুনির কথোপকথনে উল্লেখ আছে— ‘হে পরম পূজনীয় মুনিবর! যে ব্যক্তি কার্তিক ব্রত পালন করে না, সে যেন ব্রহ্মঘাতী, গোঘাতী, স্বর্ণচোর বা চিরমিথ্যাবাদীর সমান। হে বিপেন্দ্র, কার্তিক মাসে ব্রত না রাখলে শুধু পূজা-অর্চনা বা শ্রাদ্ধ করলেই স্বর্গলাভ হয় না। এই মাসে ব্রত পালন না করলে যত বড় দানই হোক, কঠোর তপস্যা বা জপ-তপ সবই বৃথা যায়। প্রিয় নারদ! সাত জন্মের পুণ্যও নষ্ট হয়ে যেতে পারে যদি কার্তিক মাসের ব্রত উপেক্ষা করা হয়। স্কন্দ ও পদ্ম পুরাণে দামোদর মাসের (কার্তিক) মহিমা বিশদভাবে বর্ণিত আছে। সব তীর্থে স্নান বা অসংখ্য দানের ফলও এই মাসের ব্রতের তুলনায় কিছুই নয়—এটি পালন করলে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি পুণ্য লাভ হয়। কার্তিকের সমান মাস নাই, সত্যযুগের সমান যুগ না,বেদের সমানশাস্ত্র নাই,গঙ্গার সমান তীর্থ নাই।যে ব্যক্তি কার্তিক মাসে শ্রীবিষ্ণুর মন্দির প্রদক্ষিণ করে, সে প্রত每一步ই অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল পায়। আর যে এই সময়ে শ্রীহরির সামনে ভক্তিভরে নাচ, গান বা বাদ্য করে, তার জন্য বিষ্ণুধামে অক্ষয় স্বর্গলাভ নিশ্চিত। হে মুনিবর! যিনি কার্তিক মাসে হরি কথা শ্রবণ করবেন তিনি শতকোটি জন্মের আপদ-বিপদ থেকে নিস্তার লাভ করেন। দামোদর মাসে একটি প্রদীপও যদি ভগবানের উদ্দেশ্যে জ্বালান, তা হলে সহস্র কোটি কল্পের পাপও মুহূর্তে মিটে যায়। বিশ্বাস করুন, মেরু ও মন্দর পর্বতের মতো বিশাল পাপও কার্তিক মাসে দীপদানের প্রভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়! পুরাণে এর অসীম মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে। বন্ধুরা, আপনাদের অনুরোধ করব—এই দামোদর ব্রত পালন করুন, জীবনকে পবিত্র করুন। এই মাসে বেশি বেশি হরিনাম জপ করুন আর প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভগবান দামোদরের কাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁর কৃপা লাভ করুন!
দামোদর মাসে নিরামিষ খাদ্য কেন গ্রহণ করা উচিত ?
এ মাসে সকলেরই নিরামিষ ভোজন করা উচিত।প্রতিদিন ভাগবতের প্রথম স্কন্ধের দামবন্ধন লীলী পাঠ করা উচিত। দিনের বেলা ভোগরাগ, প্রসাদ গ্রহণ করা উচিত।
স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে—-
“অব্রতেন ক্ষিপেদ যন্ত মাসং দামোদর –প্রিয়ম ।
তির্যগমোনীমবাপ্ লোতি সর্ব ধর্ম বহিস্কৃতঃ ।।
স ব্রহ্মহ স গোঘ্নশ্চ স্বর্ণস্তেয়ী সদানুতী ।
নকরোতি মুণিশ্রেষ্ঠ যো নঃ কার্ত্তিকে ব্রতম ।।"
হে মুণিশ্রেষ্ঠ নারদ! ভগবান শ্রী দামোদরের প্রিয় কার্তিক মাস যে ব্যক্তি বীণা নিয়মে অতিবাহিত করে সে সর্বধর্ম বহিস্কৃত ও তীর্যক যোনী প্রাপ্ত হয়ে থাকে।যে ব্যক্তি কার্তিক ব্রত পালন করে না, সে ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, স্বর্ণচুরি এবং মিথ্যা কথনের মতো পাপে জড়িয়ে পড়ে।
স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে—-
“অব্রতেন ক্ষিপেদ যন্ত মাসং দামোদর –প্রিয়ম ।
তির্যগমোনীমবাপ্ লোতি সর্ব ধর্ম বহিস্কৃতঃ ।।
স ব্রহ্মহ স গোঘ্নশ্চ স্বর্ণস্তেয়ী সদানুতী ।
নকরোতি মুণিশ্রেষ্ঠ যো নঃ কার্ত্তিকে ব্রতম ।।"
হে মুণিশ্রেষ্ঠ নারদ! ভগবান শ্রী দামোদরের প্রিয় কার্তিক মাস যে ব্যক্তি বীণা নিয়মে অতিবাহিত করে সে সর্বধর্ম বহিস্কৃত ও তীর্যক যোনী প্রাপ্ত হয়ে থাকে।যে ব্যক্তি কার্তিক ব্রত পালন করে না, সে ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, স্বর্ণচুরি এবং মিথ্যা কথনের মতো পাপে জড়িয়ে পড়ে।
দামোদর আরতি করার পদ্ধতি:
ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে একটি মাটির প্রদীপে ঘি বা তিলের তেল এবং সামান্য কর্পূর মিশিয়ে নিন। এরপর প্রদীপটি ডান দিক থেকে ঘুরিয়ে ভগবানের চরণে চারবার, নাভির কাছে দুইবার, মুখমণ্ডলে তিনবার এবং সারা শরীরের ওপর সাতবার আরতি করুন। মনে রাখতে হবে, মাটির প্রদীপ একবার ব্যবহারের পর পুনরায় ব্যবহার করা উচিত নয়। এই প্রসঙ্গে একটি চমৎকার কাহিনী শাস্ত্রে উল্লেখ করা আছে—কার্তিক বা দামোদর মাসের একাদশীর দিনে একটি স্ত্রী ইঁদুর ঘটনাক্রমে অন্য এক ভক্তের জ্বালানো প্রদীপ থেকে তেল খেতে গিয়ে নিজের মুখের সাহায্যে সলিতাকে না বুঝেই জ্বালিয়ে তোলে। এতে সেই প্রায় নিভে যাওয়া প্রদীপটি আবার উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই অনিচ্ছাকৃত সেবার ফলেই মৃত্যুর পরে সেই ইঁদুর বৈকুন্ঠধামে গমন করে। শাস্ত্রে আরও বলা হয়েছে, যদি কেউ আরতি না-ও করতে পারেন, তবু যদি তিনি প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত বিষ্ণু মন্দিরে দর্শন করেন, তবে তার বংশের কেউই নরকে যান না। এই দামোদর বা কার্তিক মাসের বিশেষ মাহাত্ম্য বোঝাতে শ্রীল প্রভুপাদ বলেন—এই পবিত্র সময়ে যারা ভক্তিভরে ভগবান শ্রীদামোদরকে খুশি করার জন্য প্রদীপ নিবেদন করেন, তাদের হৃদয় থেকে অজ্ঞানতা ও অন্ধকার দূর হয়ে যায়, সেখানে জ্ঞানের আলো জ্বলে ওঠে এবং সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি লাভ হয়। আর জীবনের পরম উদ্দেশ্য—ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তি লাভ করে তারা চিরকালীন আশ্রয়, গোলোকধামে প্রবেশ করেন।
দামোদর মাসের প্রদীপ দানের মন্ত্র
দামোদর মাসে (কার্তিক মাসে) প্রদীপ দান একটি অত্যন্ত পুণ্যময় ও শুভ কার্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মাসে প্রতি সন্ধ্যায় তুলসী মঞ্চে ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ/শ্রীদামোদর-এর সম্মুখে প্রদীপ জ্বালানো হয়। প্রদীপ দানের সময় একটি বিশেষ মন্ত্র জপ করা হয়, যা নিম্নরূপ:
প্রদীপ দানের মন্ত্র:
নমো দেৱ দমোদরায় নমঃ
প্রদীপং প্রযচ্ছামি
দিব্যং দিওত্মকম্।
স্নেহযুক্তং চ সুঘ্রাণং
ভক্ত্যাযুক্তং গ্রহণোতু মে॥
বাংলা উচ্চারণে:
নমো দেব দামোদরায় নমঃ।
প্রদীপং প্রযচ্ছামি, দিব্যং দিওত্মকম্।
স্নেহযুক্তং চ সুঘ্রাণং, ভক্ত্যাযুক্তং গ্রহণোতু মে॥
অর্থ: আমি ভগবান দামোদরকে প্রণাম জানাই। আমি আপনার সন্মুখে এই পবিত্র ও দিওত্মক প্রদীপ অর্পণ করছি, যা স্নেহ (তেল/ঘি)-যুক্ত, সুগন্ধযুক্ত এবং ভক্তি সহকারে প্রদান করা হয়েছে। আপনি তা গ্রহণ করুন।
এই মন্ত্র উচ্চারণ করে ভক্তিভাবে প্রদীপ জ্বালালে বিশেষ পুণ্যলাভ হয়। দামোদর মাসে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রদীপ দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
দামোদর মাস কত তারিখ থেকে?
দামোদর মাস (বা দামোদর ব্রত) সাধারণত হিন্দু পঞ্জিকার কার্তিক মাসে পালন করা হয়, যা ইংরেজি ক্যালেন্ডারে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পড়ে।
২০২৫ সালে দামোদর মাস শুরু হবে: 🗓️ ১৩ অক্টোবর ২০২৫ থেকে
🛕 এবং শেষ হবে: 🗓️ ১১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
এই সময়টিতে ভক্তরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় দামোদরশতক পাঠ করেন ও ঘৃতপ্রদীপ জ্বালিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করেন।
দামোদর ব্রত পালনের উপকারিতা : (ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও সামাজিক)
দামোদর ব্রত (বা কার্তিক মাসের বিশেষ ব্রত) মূলত ভগবান বিষ্ণু/কৃষ্ণের "দামোদর" রূপের উপাসনা হিসেবে পালিত হয়। হিন্দু শাস্ত্র ও লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই ব্রত পালনের নানাবিধ কল্যাণকর ফল রয়েছে।
📖Table of contents
১. ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক উপকারিতা
ভগবান বিষ্ণু/কৃষ্ণের কৃপা লাভ:
দামোদর নামটি শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপের সঙ্গে যুক্ত, যিনি মা যশোদার হাতে দড়ি দ্বারা বাঁধা পড়েছিলেন। এই ব্রত পালনে ভক্তের প্রতি কৃষ্ণের বিশেষ আশীর্বাদ বর্ষিত হয় বলে বিশ্বাস।
বিষ্ণুপুরাণ ও স্কন্দপুরাণে উল্লেখ আছে যে, কার্তিক মাসে দামোদর শ্রীবিষ্ণুর আরাধনা করলে পাপমুক্তি ও মোক্ষলাভ হয়।
পাপক্ষয় ও পুণ্যার্জন: এই ব্রত পালনে অশুভ কর্মফল দূর হয় এবং আত্মশুদ্ধি ঘটে। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, "যে ব্যক্তি দামোদর ব্রত করে, তার জন্ম-জন্মান্তরের পাপ ধ্বংস হয়।"
মহালয়া পিতৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক: কার্তিক মাসের প্রথমার্ধে পিতৃপক্ষ পালন করা হয়। দামোদর ব্রতের মাধ্যমে পিতৃপুরুষদের তৃপ্তি ও মুক্তি দেওয়া যায় বলে বিশ্বাস।
২. মানসিক ও শারীরিক সুফল
উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য উন্নতি:এই ব্রতে অনেকেই নিরামিষ আহার, একাদশী উপবাস বা ফলাহার করেন, যা পাচনতন্ত্রকে বিশ্রাম দেয় ও দেহকে শুদ্ধ করে।
মনঃশান্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণ:নিয়মিত মন্ত্রজপ ও ধ্যান চিত্তকে স্থির রাখে, উদ্বেগ কমায়।
৩. পারিবারিক ও সামাজিক মঙ্গল
সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি:
দামোদর ব্রতের সঙ্গে লক্ষ্মী পূজা যুক্ত থাকায়, এটি ধন-ধান্য ও শান্তি আনে বলে বিশ্বাস।
স্কন্দপুরাণে উল্লেখ আছে, "এই ব্রত পালনে গৃহস্থের অন্নকষ্ট দূর হয়।"
পরিবারে সম্প্রীতি রক্ষা: যৌথভাবে ব্রত পালন করলে পারিবারিক ঐক্য ও ভক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. প্রাকৃতিক ও কৃষিজ উপকার
দামোদর বা কার্তিক শুভফল: কার্তিক মাসে উৎসব শুরু হয়। দামোদর ব্রত শুভ সংকেত হিসেবে গণ্য হয়।
নদী ও প্রকৃতির পূজা:
কিছু অঞ্চলে দামোদর নদী বা জলাশয়ে দীপদান করা হয়, যা পরিবেশ সংরক্ষণের সাংস্কৃতিক রূপ।
বিশেষ সতর্কতা:
এই ব্রতের নিয়ম অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে (যেমন: পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় "দামোদর একাদশী" পালিত হয়)।
পুরোহিত বা স্থানীয় রীতি অনুসারে ব্রতের বিধি জানা প্রয়োজন।
— দামোদর ব্রতের সময় জপ করা হরে কৃষ্ণ এই মন্ত্রটি ভক্তিকে চিত্তশুদ্ধি দেয় বলে মানা হয়।
tag:দামোদর মাসের মাহাত্ম্য,কার্তিক মাসের মাহাত্ম্য,কার্তিক মাস,দামোদর মাস,দামোদর মাসের নিয়ম,দামোদর মাসের মহিমা,কার্তিক মাসের নিয়ম,দামোদর ব্রত,কার্তিক মাসের ব্রত কথা,কার্তিক মাস পালনের নিয়ম,দামোদর মাস পালনের নিয়ম,দামোদর মাস 2022,দামোদর মাসে দীপ দানের মাহাত্ম্য,দামোদর মাস 2022,দামোদর মাস ২০২২,দামোদর মাস ২০২২,নিয়ম সেবা মাস,দামোদর মাস বা কার্তিক মাসের মাহাত্ম্য,দামোদর ব্রত পালনের নিয়ম,কার্তিক (দামোদর) মাসের মাহাত্ম্য,পুরুষোত্তম মাসের মাহাত্ম্য