শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ৮৬টি মহাবাণী

লোকনাথ বাবার জীবনী ও বাণী

লোকনাথ ব্রহ্মচারী একজন প্রখ্যাত প্রখ্যাত হিন্দু সাধক ও যোগী যিনি ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে একত্রিশে শ্রাবণ  ইংরেজি ৩রা জুন ১৮৯০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনার চোরামানিক নামক প্রতন্ত এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাম নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় ও কমলা দেবীর পুত্র ছিলেন তিনি। তাহার পিতা মাতাদয় দুজন ঐ সাধক ছিলেন। তিনি বাল্য বয়স প্রায় ১০ বছর বয়সে পিতা-মাতার অনুমতিক্রমে সাধনা করার জন্য গৃহত্যাগ করেছিলেন। তিনি গুরুদেব ভগবত চিরঞ্জিত শিষ্যত গ্রহণ  করেন ওই বয়সেই। গুরুর নির্দেশে কঠোর তপস্যার মাধ্যমে তিনি হিমালয় অতি অলৌকিক শক্তি অর্জন করে ফেলেন। তার জীবনভর লক্ষ্য ছিল মানবজাতির সেবা ও ভগবানের প্রতি নিরন্তন প্রেম ভালোবাসা। 

১. 'যখনই বিপদে পড়বে, মনে করো, আমি আছি পাশে।'

২. আমি সব সময় প্রস্তুত। তোমাদের খুশিতে আমি খুশি, দুঃখে আমি দুখী। আমি কখনো হারাই না, আমি সব সময় আছি।

৩. 'এই শরীর থাকলে কিংবা না থাকলে, ভাবনা কোরো না। আমি আগেও ছিলাম, এখনও আছি, আর চিরকাল থাকবো।'

লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ৮৬টি মহাবাণী
লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ৮৬টি মহাবাণী



০৪. তিনি বলতেন, 'আমার শেষ নেই, শ্রাদ্ধও নেই, আমি চিরকালীন।' অর্থাৎ ওই 'আমি' হলো সেই 'পরমাত্মা' যা গীতে বলা হয়েছে। 'যাকে কাটতে পারে না, আগুনে জ্বলতে পারে না, জল দিতে পারে না, আর বাতাস শুকিয়ে ফেলতে পারে না।'

০৫. তিনি বলতেন, 'অনেক বছর পাহাড়ে ঘুরেছি, কিন্তু ঈশ্বরকে দেখিনি। আমি শুধু নিজের সাথে যুক্ত আছি, সংসারে। সংসার বন্ধ আছে মুখ এবং হাতের কাজের সাথে। সেই ব্যক্তি সফল হতে পারে, যে এই দুইটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।'

০৬. লোকনাথ বাবা বলতেন, ‘আমি পাহাড়ে অনেক কিছু পেয়েছি। অনেক কষ্ট সহ্য করেছি। তুমি যদি শুধু বসে থাকো আর আমার নাম বলো, তাতেই বাঁচতে পারবে।’

০৭. তোমাদের মুক্তির পথ হলো আত্মনিষ্ঠ যোগ। ভক্তিই আসল বিষয়। মন্ত্র এসবের মাত্র সহায়। তোমরা আমার সন্তান, ভক্তি নিয়ে এগিয়ে যাও, তোমাদের কে আটকাবে?

০৮. 'যার কাছে আমার স্মরণ সত্যি হয়ে আসবে, তারাই আমার কৃপা বুঝতে পারবে।'

০৯. 'আমার দান everywhere ছড়িয়ে আছে, তুমি শুধু নিয়ে নাও।'

১০. 'যা মনে আসে করো, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ভালো ও মন্দের বিচার করো।'

১১. 'ক্রোধ ভাল, কিন্তু ক্রোধে অন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়।'

১২. 'প্রথমে ভাঙা অংশ জানো, তাহলে অখণ্ড আনন্দ খুঁজে পাবে।'

১৩. 'যদি অসহায়দের হাতে কিছু দাও, তা আমি পাব, আমিই গ্রহণ করবো।'


১৪. পরম দয়াল বাবা লোকনাথ একবার এক ভক্তকে বলেছিলেন, 'যদি ধার্মিক হতে চাও, তো রাতে শোয়ার আগে তুমিই নিজের কাজের হিসাব-নিকাশ কর। ভালো কাজগুলো মনে রেখো, আর খারাপ কাজগুলোও। ভালো কাজ হলো যা জমা, আর খারাপ কাজ হলো খরচ। তাই, তুমি চিন্তা করো খারাপ কাজ আর যাতে না হয় সে জন্য ভালোভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'

১৫. 'সঙ্গ থেকে আসে কামনা, কামনা থেকে জন্ম নেয় ক্রোধ, ক্রোধ থেকে মোহ, আর মোহ থেকে মানুষ সত্য পথ ভুলে চলে যায় এবং অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। অপকর্মের ফলে মেধা ও বিবেক নষ্ট হয়, আর তখনই জীব দুঃখের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়।'

১৬. 'সৎকর্মে লিপ্ত থাকা, গুরুর কথা শুনা, আর গুরুকে সম্মান দিয়ে তাঁর পছন্দের কাজ করা – এই হলো প্রকৃত গুরুসেবা।'

১৭. 'এতদূর পাহাড়-পর্বত ঘুরে দুজন ব্রাহ্মণের দেখা পাইনি; একজন হলো মক্কার আব্দুল গফুর, আর আরেকজন কাশীর ত্রৈলঙ্গস্বামী।'

১৮. 'যখন অহং চলে যায়, তখন মন নিজের গুরু হয়ে ওঠে, বুদ্ধি জেগে ওঠে, ভালো ও খারাপ বিচার আসে। জ্ঞানের সঙ্গে ভক্তি জুড়ে দিলে, মনিকাঞ্চন হলে শ্রদ্ধা হবে তোমাদের আশ্রয়, শ্রদ্ধাই হবে তোমাদের বন্ধু, শ্রদ্ধাই হবে তোমাদের পথচলা।'

১৯. 'গুরু কে? গুরু হলো স্বয়ং ভগবান। কেবল ভগবান ছাড়া কেউ গুরু হতে পারে না।'

লোকনাথ ব্রহ্মচারী old picture
লোকনাথ ব্রহ্মচারী



২০. 'তাকে respect করো আর নির্ভর করো।'

২১. 'সবসময় খুশিতে থাকো। খুশিতে থাকার মানে হলো শ্রীভগবানকে অনুভব করা।'


২২. যোগ হচ্ছে শ্বাস ও প্রশ্বাসের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া।

২৩. বাবা লোকনাথ নিজেই ব্রহ্ম। তিনি এই অবস্থায় থেকেও আমাদের জন্য তাঁর করুণার অংশ রেখেছেন।

২৪. অসন্তোষের মূল হচ্ছে মানসিক যন্ত্রণা, সন্তুষ্টির অভাব এবং অন্তরের ক্ষোভ।

২৫. সুখ-দুঃখ বা অন্যের কথা ভাবার দরকার নেই, খারাপ কিছু না করে, নিজের কাজ করে যাও।

২৬. গুরু যে মন্ত্র দিয়েছেন, সেটা নিয়ে বিচার করা শিষ্যের কাজ নয়। শিষ্য শুধু গুরুর দেওয়া মন্ত্রটির জপ করবে।

২৭. যদি কথা, সম্পদ ও বন্ধু হারানোর কষ্ট সহ্য করতে পার, তাহলে মৃত্যুর ভয়ও দূর হয়।

২৮. বাবা লোকনাথের দর্শনে থেকো। তাঁর আশ্রয়ে থাকলে কেন ভয় পাবে?

২৯. ভগবান যেভাবে আমাদের রাখেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকতে হবে, কারণ তিনি সবসময় মঙ্গলের জন্য কাজ করেন।

৩০. অনেকে মনে করেন সংসারে থাকতে সাধনা করা কঠিন। আসলে, সংসার মানুষের মনে। যদি মনে রাখার প্রয়োজন থাকে, তাহলে সমস্যা নেই। অহংকার যখন বাধা দেয়, তখন সাধনা করে তা পেরিয়ে যেতে হবে।

৩১. বাবা মঙ্গলময়, তাই যেখানে তাঁর মূর্তি সেখান অমঙ্গল ঘটবে না।

৩২. সেই জগতের কথা বলাটা খুব কঠিন। বোবার মতো, মিষ্টির স্বাদ বোঝাতে পারে না।

৩৩. আমি তোমাদের মতোই খাই, চলাফেরা করি। আমাকে যেভাবে ভাবতে চাও, ভাবতে পারো। আমি সাধারণ মানুষ, কিন্তু সবাই আমার ভিতরের সত্যি মনে করে না। সবাই ছোট ছোট ইচ্ছায় ব্যস্ত, প্রকৃত আমি কে, তা ভুলে যায়।

৩৪. সমাধির উচ্চতম স্থানে পৌঁছানোর পর দেখেছি, আমার আর পুরো ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে কোন ভেদ নেই, সবই এক।

৩৫. এই শরীর একদিন শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আমি যেমন ছিলাম, তেমনই থাকবো।

৩৭. গীতা শুধুমাত্র পাঠ্য বই নয়, এটা পড়তে হবে এবং শ্লোকগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে হবে।

৩৮. নিজেকে বড় ভাবার পরিবর্তে তাঁকে বড় ভাবো, নিজেকে কর্তা না জেনে তাঁকে কর্তা জ্ঞান করার চেষ্টা কর, তখন ত্যাগ আসবে।


39. যদি জানো কেন মোহ আসে, তাহলে তাকে আটকানো সম্ভব।

40. যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য মেহের দরকার, তেমনই দেহের প্রয়োজন বোধ থাকে বিষ্ঠা বা মূত্র ত্যাগের জন্য। আমার জন্যও এমনই একজন প্রয়োজন, যে আমার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে ইচ্ছা করতে পারে।

41. যাঁকে পাওয়ার জন্য এত সাধনা ও ভক্তি, তিনি কি কেবল মন্দিরের মূর্তি বা সাধু মহাপুরুষদের মধ্যে? তিনি তো সব জায়গাতেই আছেন।

42. আমাদের সমাজ অন্ধ। চোখ থাকা সত্ত্বেও অন্ধের মতো চলাচল করে।

43. যে কাজ মনে অশান্তি ও তাপের সৃষ্টি করে, তা পাপ। আর যে কাজ আত্মচেতনা জাগায় ও মনের মধ্যে শক্তির অনুভব দেয়, তা পুণ্য এবং স্বর্গের সমান।

44. মনে যা আসে, তা শুনো, কিন্তু নিজের বিচার ভুলে যেও না। কারণ, মনের মতো ধোঁকা দেয় অন্য কেউ না। মহৎ মানুষের কথা ও শাস্ত্র মানতে পারলে তবেই সঠিকভাবে আত্মসমীক্ষা হতে পারে।

45. ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, যে মায়ের নির্দেশ পালন করে, তার জীবনে ভগবানের কৃপা নেমে আসে।

46. দুঃখী সমাজের জন্য সদা চেষ্টা করো দুঃখ করার।

47. যখন তুমি এই দুনিয়াতে এসেছ, তখন দশজনকে সেবা করে, তাদের খুশি করে জীবনকে সফল করো। এতে তোমারও ভাল হবে, বিশ্বেরও ভাল হবে।


৪৮. তোমরা আমাকে শুধু একটা শরীর হিসাবে ভাবো, মানুষ হিসাবে নয়। আমি কে, সেটা জানার চেষ্টা করো না। আমি কি বললে তোমরা পাবে না। আসল আমি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পায় না। 

৪৯. আমি একশ বছরের বেশি সময় পাহাড় আর বনের মধ্যে কাটিয়েছি, কিন্তু তোমাদের ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়নি। শুধু নিজের চেহারা দেখেছি, আমি সংসারে আছি, আর সংসার কথা আর কষ্টে আটকে আছে। যে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে সফল হয়।

৫০. মনে হচ্ছে তোমাদের জন্য আমার কোনো স্বার্থ নেই, তবে সবকিছুই আমার জন্য। আমি তো তোমাদের ছাড়া থাকতে পারি না, তোমাদের মুখ থেকে বাবা ডাক শুনতে না পেলে খুব খারাপ লাগে। তাই আমি আসার চেষ্টা করি, একটু ভালোবাসা পেতে।

৫১. হিমালয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে গিয়ে দেখলাম আমি ছাড়া আর কেউ নেই, তখন সবার দুঃখ আমার হৃদয়ে অনুভব করলাম। তাই তোমাদের সাথে থাকতে এলাম, তোমাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হতে।

৫২. গীতা নিত্য পড়ার বই নয়, গীতা গীতা। গীতা পড়লে কিছু হবে না, শোনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি প্রাণে যে ভগবান আছে, যেদিন শুনবে সেদিন তুমি গীতা হয়ে যাবে।

৫৩. আমি যা খুশি তাই করতে পারি, তোমরা বিশ্বাস করো না, তাই তোমাদের ears এ তেমন জিনিস পৌঁছায় না।

৫৪. আমার জন্ম সম্পূর্ণ আমার ইচ্ছার ওপর।

৫৫. তোমাদের ছেড়ে আমি কোনো জায়গায় যেতে পারি না, কারণ আমি সমস্ত অস্তিত্বে ঘুরে বেড়াচ্ছি।

৫৬. যারা শ্রদ্ধাপূর্ণ মনে আমাকে স্মরণ করবে, তারাই আমার দয়া পাবেন।

৫৭. তোমরা সত্যের দিকে দৃঢ়ভাবে থাকো, ভগবানের শরণ নাও এবং গুরু নির্দেশিত পথ অনুসরণ করো।

৫৮. আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস বাড়লেই তোমাদের সব চাওয়া পূর্ণ হবে।

৫৯. আমি ভক্তদের বোঝা নিজের কাঁধে বয়ে বেড়াই। তোমাদের সব দায়িত্ব আমার। শুধু তোমাদের সহজ স্নেহময় মনটা আমাকে দাও, কারণ আমি তো তোমাদের প্রেমের জন্য আকুল।

60. যে আমার মন ও প্রাণ দিয়েছে, আমি তার কাছে ঋণী হয়ে গেছি।

61. যত গোপন, তত মজবুত; যত প্রকাশ্য, তত হতাশ।

62. যখন মন থেকে চিন্তা হয় যা তাপের সৃষ্টি করে, সেটাকে পাপ ধরা হয়। মানে, ইচ্ছা-বাসনা আসলে পাপের কারণ।

63. বিশৃঙ্খলতা দুস্থতার কারণ।

64. তোমরা কয়বে, কিভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করবা যে, আমি একমাত্র নেতা। আমার উপর ভরসা রাখ, সব দায়িত্ব আমাকে দিয়ে শুধু নিজের কাজটা ঠিকভাবে কর, তাহলে শান্তি পাবা।

65. যে কেউ বিপদে আমাকে মনে করবে, সে তখন আমার সাহায্য পাবে।

66. আমি শরীর ছেড়ে গিয়েছি কিন্তু ভক্তের কল্যাণে আমি সবসময় তার সাথে আছি। তোমাদের চোখ অন্ধ, তাই আমায় দেখে না।

67. বারদিতে থেকেও কেউ খালি হাতে ফিরে যায়নি, যারা আসবে তাদের চাওয়া পূরণ হবে।

68. কিন্তু তোমরা যেন দুনিয়ার চাওয়া নিয়ে ভুলে না যাও, সত্য লাভের জন্য চেষ্টা করো। আমার সাহায্য তোমাদের পথকে সহজ করবে।

69. আমি তোমাদের মধ্যে আছি, চিরকাল থাকবো।


৭০. বল, কোথায় যাব? পূর্ণ থেকে পূর্ণ হলে তো পূর্ণই থাকে। সে তো পূর্ণ।

৭১. তোরা ভাববি না আমি ছাড়া কিছু নেই। আমি তোদের মাঝে আছি এবং থাকবো।

৭২. আমার সন্তানদের ওপর কেউ শাসন করবে না। আমি তো কাউকে কখনো উপদেশ দিইনি; এটা আমার নিয়ম।

৭৩. যদি দুই শতাব্দীর অভিজ্ঞতা ওয়ালা যোগী আমার কাছে আসে এবং সে যদি আমার দেশ থেকে না হয়, তাও আমি তাকে সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবেই গ্রহণ করবো।

৭৪. আমি ধরা দিই বলেই আমাকে ধরতে পারিস, না হলে কেউ আমার কাছে আসার সাহস পেত না।

৭৫. যে যোগী আত্মজ্ঞান লাভের পরে দয়ার স্বরে সব জীবের মঙ্গল কামনা করেন, সে আমার সবচেয়ে প্রিয়।

৭৬. আমি কে, সেটা জানার দরকার নেই। শুধু আমার জন্য অন্তর থেকে প্রার্থনা করো। তাতে আমি তোমাদের সব কষ্ট মোচন করবো।

৭৭. তোমাদের ডাকে আমার মন ভেঙে যায়, তাই আমি তোমাদের কাছে আসতে না পারি না।

৭৮. আমি যা ইচ্ছা করি, করতে পারি। তোদের বিশ্বাস নেই, তাই তোদের চাওয়া ও পাওয়াও ঠিক হয় না।

৭৯. 'মুসলমান' শব্দটি এসেছে 'মুছল্লম ঈমান' থেকে; যার অর্থ সম্পূর্ণ ঈমান যার মধ্যে রয়েছে, কেবল সে মুসলমান।


80. ক্ষুন্নিবারণের জন্য দেহের যেমন প্রয়োজন বোধ, বিষ্ঠামূত্র ত্যাগের জন্য দেহের দূর করার জন্য যেমন আমাদের দেহ মনে করে, তেমনি আমি যখন প্রয়োজন অনুভব করি, তখন আমি চাই সেটা নিতে। 

81. যদি আমার জন্য তোর মনে কৃতজ্ঞতা আসে, তো আমায় কিছু দে। দরিদ্র আর উদ্বাস্তুদের জন্য যে কিছু দেবি, জানবি, সেটা আমি একাই পাব।

82. তুই কি ভাবিস, আমি চাই যে তুই দুঃখ পাস, রোগ-ব্যাধিতে ভুগিস?

83. বহু জন্ম ধরে তুই অনেক পাপ জমিয়ে রেখেছিস। এই শারীরিক আর মানসিক যন্ত্রণার বাইরে তো আর কিছু নেই।

84. কিন্তু যখন দেখি তুই রোগের কষ্টে জর্জরিত, তখন বাবা বলে তোর কান্না আমার মনে দাগ কেটে যায়। তোর কষ্টে কিছু করার ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না।

85. জানি তোদেরই সম্মতি থাকে। কিন্তু সব জেনে কিছু না করা তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

86. আমি শাসনও করি, আবার ধুলো মুছে তুলে নিতেও পারি।

১৮৯০ সালের ৩রা জুন তিনি বারদী আশ্রমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সেই সময় থেকে অসংখ্য ভক্ত আজও তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়। ভারতে বারদীতে তার স্মৃতি নিয়ে একটি মন্দির হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ তাকে ভগবান হিসেবে পূজিত করেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url