হীরা আসল নাকি নকল, চিনবেন কীভাবে?

পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি পদার্থের মধ্যে হীরা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ। হীরা শুধু একটি রত্নই নয় বরং এটি একটি বিনিয়োগ। কারণ আপনি যখন বিপদে পড়বেন তখন এটি বিক্রি করে আপনি সে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যখন একটি হীরা কিনতে যান তখন সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়ে যান কারণ এটা আসল নাকি নকল সেটা ভেবে। নকল বা সিনথেটিক হীরার প্রচলন বেড়ে যাওয়ার কারণে এ চিন্তা গুলো মানুষের করাটা স্বাভাবিক। আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ এই প্রবন্ধে আমরা শিখাবো আপনি কি করে ভালো ও উন্নত মানের হীরা চিনবেন। আবার কিছু কিছু পরীক্ষা আপনি নিজেই করতে পারবেন এই হীরা চেনার ক্ষেত্রে। 

বিশুদ্ধ বা উৎকৃষ্টমানের হীরা চেনার উপায়

 বিশুদ্ধ খণিজ মহারত্ন হীরা তিন প্রকার যেমন- পুংহীরা। দর্শনে সুন্দর, গোলাকার, উজ্জ্বল জ্যোতি বিশিষ্ট, রেখা, বিন্দু, কালোদাগ, ফাটল বর্জিত সেই সঙ্গে আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও দ্যুতি বের হয়।

হীরাঃ ঘট বা অষ্টকোন বিশিষ্ট, রেখা, বিন্দু, ফাটল বর্জিত ও প্রচুর তেজযুক্ত।

হীরা চেনার উপায় easy
 হীরা চেনার উপায়


স্ত্রী নপুংসক হীরা: ত্রিকোনাকার সুদীর্ঘ বিন্দু রেখাদি দোষ বর্জিত।
বিশুদ্ধ হীরা চারিচর্ণের যেমন ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয় বৈশ্য ও শুদ্র। ব্রাহ্মন বর্ণের হীরা শঙ্খ, কুমুদ ও স্ফটিকের ন্যায় শুরু বর্ণ। ক্ষত্রিয় বর্ণের হীরা শশক ও ও নকুলের নকুলের চোখ চোখ বা বা । মধুবর্ণের। মধুবর্ণের। র্ণর। বৈ বৈশ্য বর্ণের হীরা হলুদ রসের ন্যায় পীত বা পাণ্ডু বর্ণের। শুদ্র বর্ণের হীরা কৃষ্ণ, ধুসর ধুসর বা জর্দা বর্ণের। বর্ণের। উক্ত চারি বর্ণের হীরাই বিশুদ্ধ বা উৎকৃষ্ট মানের আবার বিভিন্ন অশুভ দাগ, অনুজ্জল, কর্কশ, ফাঁটা বুদ বুদ বুদ প্রভৃতি চিহ্ন থাকলে অশুদ্ধ বা নিকৃষ্ট মানে মানের হয়ে পড়তে পারে।

বিশুদ্ধ হীরা নির্মল, তীক্ষ্ণ ধারালো, প্রশান্ত বর্ণ, লঘু, শোভনীয় পার্শ্ব, দোষ রহিত সেই সঙ্গে আলোকপ্রভা ইন্দ্রধনুর ন্যায় উর্দ্ধমুখে প্রতিফলিত হয় ও জলে নিমগ্ন হয় না সেইরূপ হীরাই সবগুন যুক্ত বা সর্বশ্রেষ্ঠ। খাটি বিশুদ্ধ হীরাকে দেবতাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে যেমন হরিদ্বর্ণ হীরাকে হরি, শ্বেতবর্ণের হীরাকে বরুণ, পীতবর্ণের

হীরাকে ইন্দু, পিঙ্গলবর্ণের হীরাকে অগ্নি, শ্যাম বর্ণের হীরাকে যম এবং তাম্রবর্ণের হীরাকে ইন্দ্র, পিঙ্গলবর্ণের হীরাকে অগ্নি, শ্যামবর্ণের হীরাকে বরুণ, পীতবর্ণের হীরাকে ইন্দ্র, পিঙ্গলবর্ণের হীরাকে অগ্নি, শ্যামবর্ণের হীরাকে যম এবং তাম্রবর্ণের হীরাকে রায়ু বলে স্থান দেওয়া হয়। বিশুদ্ধ হীরা শোধন পূর্বক ধারণ করলে ধারণকারীর জীবনে মনোরম গৃহবাড়ি, যানবাহনাদী, ধন ঐশ্বর্য, শিক্ষা দীক্ষা, পাণ্ডিত্যশক্তি, শুভ মানসিকতা, ক্ষমা, দয়া, স্থিরতা, প্রফুল্লতা সুন্দর দেহযুক্ত তথা লাবণ্যময় চেহারা, রতি কুশলী ছাড়াও অভিনয় জগত, শিল্পী, লেখক ও আবিস্কারক হিসাবে প্রচুর সুনাম, যশ খ্যাতি লাভ হয়।

অশুদ্ধ বা নিকৃষ্টমানের হীরা: যে হীরার গায়ে পাংডুবর্ণ, পদচিহ্ন অংকিত শৃঙ্গাকৃতির, অগ্নিদগ্ধ, মধ্যভাগ মলিন, রক্তাভচিহ্নযুক্ত, সেই সঙ্গে ওজনে হালকা বা চ্যাপটা দাগ, বিন্দু, ফাঁটল, ছিন্দ্র, এাসযুক্ত, অমসৃন ও বিকৃতাঙ্গ হলে সেই হীরাকে অশুদ্ধ হীরা বলে জানবে। এরূপ হীরা পরিধান করলে ধারনকারীর জীবনে তীব্র কামনা বাসনা, অবৈধ যৌন সংস্পর্শে ব্যাকুলতা, হটকারিতা, বাচালতা, অপন্যায়, নিন্দা, কুস্থানে গমন, কুপ্রেরনাদাতা, বিপরীতে যৌনরোগ, বহুমুত্র, সিফিলিস, গনোরিয়া, প্লীহা, অজীর্ণতা, মুচ্ছারোগ ছাড়াও অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। এক কথায় মহামূল্যবান রত্ন হীরা অশুদ্ধ হলে যতটা হীরা ক্রয়ে অর্থব্যয় হবে তার চেয়ে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক দিক থেকে।

হীরার উপাদান ও প্রাপ্তিস্থান: হীরার মূল উপাদান হল বিশুদ্ধ কার্বন বা অঙ্গারের আকৃতিগত রুপান্তর। বিশ্ববিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব লাভয়শিয়ে প্রমান করেন যে হীরককে দগ্ধ করলে একমাত্র কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। এছাড়া হীরাকে দগ্ধ করার পর যে ভস্মাবশেষ অবশিষ্ট থাকে তা বিশ্লেষন করলে দেখা যায় তাতে আছে ফেরিক অক্সাইড-এবং সিলিকন, যার দ্বারা প্রমানিত হয় হীরা হল উদ্ভিদযোনি পদার্থ দিয়্যোন পলাশ। বিশুদ্ধ খণিজ হীরার রুপান্তর সাধারণত দুই শ্রেণীর হয়ে থাকে। একটি স্ব কে। একটি স্বচ্ছ এবং অপরাট অস্বচ্ছ। তন্মধ্যে স্বচ্ছটির নাম হল হীরা। আর অসচ্ছটির মধ্যে যেগুলির বর্ণ ধূসর কৃষ্ণ বর্ণের তার নাম কার্বনাডো এটি পাথরের গায়ে ছিদ্র করার কাজে ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় অসচ্ছটির মধ্যে যে গুলির বর্ণ মসীকৃষ্ণ তার নাম ভ্রামর মনি এটি রত্নপাথর পালিশের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ভ্রামর মনিকে এক শ্রেণীর অসাধু রত্ন জ্যোতিষী, রত্ন ব্যবসায়ীরা কৃষ্ণহীরা বা Black Diamond বলে বাজারে চালিয়ে থাকেন অধিক লাভের আশায়। আজকালকার যুগে ডায়মন্ড টেষ্টার বা ডায়মন্ড সিলেক্টোর নামে যে মেশিনগুলি পাওয়া যায় ওগুলিতে পরীক্ষা করলে ভ্রামরমনি আর বিশুদ্ধ হীরা একই ফলাফল প্রকাশ করে বলে ক্রেতাদের বোঝানো ও বোকা বানানো খুবই সহজ। আর তাতে লাভের অংশ কতটা তা ঐ বিক্রেতা ছাড়া আর কেউ সঠিক রূপে জানেন এমনটি আমার জানা নেই।

হীরার বর্ণঃ বিশুদ্ধ হীরা বর্ণহীন হওয়ারই কথা তন্মধ্যে লালচে, ধুসর নীল, হলুদ, সবুজ, ছাই রং এর, বাদামী, রুপালী প্রভৃতি বর্ণের পাওয়া যায়, খনিথেকে উত্তোলিত হীরার শতকরা পাঁচ ভাগও বর্ণহীন নয়। বিশুদ্ধ খাটি হীরা নদীবর্ণ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং বর্ণহীন যাকে আমরা সাদা রং এর হীরা বলে থাকি। নীলচে হীরা দুর্লভ এবং দুষ্প্রাপ্য বলে সর্বচ্চো মানের বলে স্বীকৃত। হীরার বর্ণ বৈষম্যতা শুধুমাত্র পৃষ্ঠতলের লৌহ অক্সাইড বা জৈব পদার্থে উপস্থিতির জন্য। আসল কথা হল হীরা যে বর্ণেরই হোক না কেন হীরা কেবল হীরাই। হীরার সমতুল্য পদার্থ পৃথিবীর বুকে আর দ্বিতীয়টি আছে বলে আমার জানা নেই। হীরার মূল্যায়ন স্বচ্ছতা, উজ্জ্বলতা, কাঠিন্যতা, বিচ্ছুরনতা প্রভৃতি উপর নির্ভরশীল হীরার অন্যান্য।
উপকারীতাঃ দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য হল পৌরুষত্বও প্রেমের প্রতীক। তাইতো শুক্ররত্ব হীরা। জীবনে সুখ, শান্তি আনন্দ, প্রেম, ধনঐশ্বর্য, শিক্ষা দীক্ষা, পান্ডিত্যশক্তি, মানসিক স্থিরতা সহ প্রফুল্লতা, গৃহবাড়ি, যানবাহনাদী। লাভ ছাড়াও শিল্পী ও শিল্পবৃত্তি, ও শিল্পবৃত্তি, অভিনয় বিদ্যা, লেখক, আবিস্কারক হিসাবে প্রচুর জনশ্রুতি লাভ করে। হীরা ধারনের আর। একটি প্রধান গুন হল হীরা ধারনকারী মানব নীরোগ, সুন্দর দেহ বিশিষ্ট ও আকর্ষনীয় চেহারার হয়ে থাকে। যার ফলে এরা হয়ে ওঠে প্রেমিক, পৌরুষময় এবং রতিকুশল তাইতো হীরা ধারনকারী নারী পুরুষেরা অবৈধ প্রেম প্রনয়ে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বাস্তব জীবনে হীরা ধারনকারী মানবেরা গুরুগিরি, পূজাপাঠন, ধর্মপ্রচার, ধর্মীয় আচার আচরনের শিক্ষাদান প্রভৃতি ছাড়াও ব্যবসায়ীর জগতে মনোহারী বা মনোলোভা দ্রব্যাদি, পারফিউমারী দ্রব্য, ফুল, ফল, খাদ্যশস্য, সকল প্রকার বস্ত্রাদি, সিনেমা, নাটক, থিয়েটার। গান বাজনার যাবতীয় বিষয়াদি, বাদ্যযন্ত্রাদি, বিদেশে অর্থলগ্নি ইত্যাদি পেশায় জয়লাভের জন্য হীরা এক অপরিহার্য রত্ন। আয়ুর্বেদ জগতে হীরাভস্ম কুষ্ঠ, বহুমুত্র, রক্তশুন্যতা, উদরী, কৃশতা ক্ষয়, যৌনরোগ, সিফিলিস, প্লীহা, মূর্ছা প্রভৃতি রোগের প্রতিযোধক তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এক কথায় হীরাভস্ম বায়ু, পিত্ত, কফ এই ত্রিতত্ত্ব যে জীবজগতের জীবনধারা তথা শরীর পতনের কারন। তাতে সন্দেহ নেই। তাইতো মানব জীবনের যৌবনত্ব ধরে রাখতে হীরার ব্যবহার অপরিসীম।

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রকার হীরা: দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে হীরা পাওয়া যায়, তন্মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার হীরা জগৎ বিখ্যাত। তাই বলে বাকী দেশগুলো হতে প্রাপ্ত হীরার মূল্য কোন অংশে কম নয়। হীরা যে দেশ থেকেই প্রাপ্ত হোক না কেন তা যদি দর্শনে সুন্দর, গোলাকার, উজ্জল জ্যোতি বিশিষ্ট, রেখা, বিন্দু, ত্রাস, কালোদাগ। রহিত সেই সঙ্গে আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরন ও দ্যুতি বের হলে সেই হীরাই সর্বতকৃষ্ট এবং কার্যকারী ক্ষমতাও চমৎকার। হীরার বিভিন্ন দোষ ও দোষযুক্ত হীরা ধারনের কুফল

জ্যোতিষশাস্ত্রে শুক্রগ্রহের বৈগুন্যতার জন্য ধারনীয় রত্ন, উপরত্ন এবং মহামূল্যবান, সকল পাথরের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ রত্নপাথর হীরার মধ্যেও বিভিন্ন প্রকার দোষ ত্রুটি তথা অশুভ চিহ্নাদির উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। যেমন কালো, লাল, সাদা, কাকের পাখার ন্যায় কালো, ধুসর রং এর দাগ, তার দোষ, ভাঙ্গন দোষ, কর্কশ, অসম দ্যুতি ও স্বচ্ছতা প্রভৃতি দোষ যুক্ত হয়ে থাকে।
নিম্নে বিভিন্ন প্রকার দোষযুক্ত হীরা চিহ্নিত করন এবং তা ধারন জনিত কুফল সংক্ষেপে কর্ণনা করা হল।

১। কালো, লাল, সাদা দাগ যুক্ত হীরা: যে হীরার মধ্যে লাল, কালো, সাদা তিলের ন্যায় আবার তিলটির চতুর্দিকে ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র দানা যুক্ত যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এরুপ হীরা ধারনে ধারন কারীর জীবনে দুর্ঘটনা, রক্তপাত, দাম্পত্য অসন্তোষ, পরনারী বা পরস্ত্রীর প্রতি আসক্তি ছাড়াও গৃহবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

২। কাকের পাখার ন্যায় কালো বা ধুসর রং এর দাগ যুক্ত হীরা: দাগ যুক্ত হীরা: যে হীরার মধ্যে পাখির পালক বা মাকড়সার জালের মতো সুক্ষ্ম রেখা থাকে এরুপ হীরা ধারনে ধারন কারীর জীবনের স্বপ্ন স্বাধ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। এককথায় নীড় হীন পাখি আর পাল হীন নৌকার ন্যায় জীবন চলতে থাকে।

৩। তারদোষ, ভাঙ্গন দোষ, ও কর্কশ দোষযুক্ত হীরা: যে হীরার মধ্যে তারের মত দাগ এবং অভ্যন্তরে ভাঙ্গার মতো মনে হয় সেই সঙ্গে উপর অংশে চুল বা সরু সুতা দ্বারা টানলে বাঁধা বাধা মনে হয় এরুপ হীরা ধারনে আর্থিক ক্ষতি মানসিক বিষন্নতা, সন্তানের পীড়া ছাড়াও অযাচিত অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। এমনকি ধারনকারী ঋনগ্রস্থ হতে হতে এক সময় গৃহবাড়ি সম্পদ সম্পত্তি হারিয়ে বিদেশে পলাতক জীবন যাপন করে।

৪। অসম দ্যুতি ও স্বচ্ছতা দোষযুক্ত হীরা: যে হীরার রশ্মি অসম এবং স্বচ্ছতা কম দেখতে সমুদ্রের জলের ন্যায় ঘোলা। এরুপ হীরা ধারনে ধারন কারীর জীবনে দুর্বিসহ মানসিক যন্ত্রনা, নারীজাতির বন্ধাত্ব, স্ত্রী ও স্বামী ভ্রষ্ট ছাড়াও নানা বিধ। পচনশীল বা গ্যাংরিন জাতীয় রোগ ব্যাধির প্রকোপ দেখা দেয়।

বাড়িতে করা যায় এমন সহজ উপায়:

এখন যে পদ্ধতি গুলো শেখানো হবে তাতে আপনি শতভাগ না হোক অন্ততপক্ষে ৯০ ভাগ শিওর হতে পারবেন হীরা গুলো আসল। 
আপনি ফগ টেস্টের মাধ্যমে বাড়িতে হীরা টেস্ট করতে পারবেন। হীরের উপর হালকা নিঃশ্বাস ছাড়ুন দেখবেন  কিছুটা ফগ তৈরি হয়েছে কিনা এবং সেই ফগ কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি এটি হয় তাহলে বুঝবেন এটা আসল হীরা। 

পানি দিয়ে টেস্ট করতে পারেন। একটি কাচের গ্লাসে পানি নিন সেখানে হীরাটি ছেড়ে দিন আসল হীরা হলে পানির নিচে ডুবে যাবে আর নকল হলে হয়তো ভাসবে বা মধ্যবর্তী স্থানে থাকবে। 

আরেকটি পদ্ধতি আছে সেটি হলো হীরাটিকে একটি মুদ্রণ করা বই বা খবরের কাগজের উপর রেখে সরাসরি এর মধ্য দিয়ে বইয়ের বাঁ কাগজের পড়াগুলো পড়ার চেষ্টা করুন। হীরা যদি আসল হয় তাহলে পড়তে পারবেন না কারণ এ লেখাগুলো রিফ্লেক্ট হয়ে উলটপালট দেখা যাবে। আর নকল হিরা হলে লেখাগুলো ঝাপসা দেখতে পারবেন। 
 

হীরা চেনার উপায়: কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)


Q1: মোবাইল ফোনের লাইট দিয়ে হীরা পরীক্ষা করা যায় কি?


A: হ্যাঁ, একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। আসল হীরা সাধারণত সাদা আলো ছড়িয়ে দেয়, যখন নকল হীরা (CZ) often rainbow-colored light reflects করে।


Q2: দাঁত দিয়ে হীরা পরীক্ষা করা কি সঠিক?


A: এটি একটি পুরনো পদ্ধতি, তবে এটি খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটি আপনার দাঁত এবং হীরা উভয়েরই ক্ষতি করতে পারে। এটির এটির উপর আপনার সম্পূর্ণ বিশ্বাস না রাখাই উত্তম।


Q3: ল্যাব-গ্রোন হীরা কি নকল?


A: না, ল্যাব-গ্রোন হীরা রাসায়নিক এবং অপটিক্যাল দিক থেকে প্রাকৃতিক হীরার মতোই আইডেন্টিক্যল। এটি "নকল" নয়, বরং একটি সত্যিকারের হীরাই যা ল্যাবে তৈরি। এটি চেনার একমাত্র উপায় নির্ভেজাল পদ্ধতি।


সারসংক্ষেপ: হীরা চেনার উপায় ক্রেতার জন্য খুব একটি জটিল বিষয় তবে আপনি যদি নির্ভরযোগ্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে হীরা কিনেন তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারবেন যে আপনার হিরাটি আসল। এছাড়া আপনি হীরা স্পেশালিস্ট কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে ক্রয় করতে পারবেন। 

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url