গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রুকে প্রশমিত করার বিভিন্ন উপায়
ভূমিকা: কেন শত্রুকে প্রশমিত করা প্রয়োজন?
মানুষের জীবনে শত্রু থাকা একটি স্বাভাবিক বাস্তবতা। কেউ প্রকাশ্যে শত্রুতা দেখায়, কেউ আবার আড়ালে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। শত্রুকে পরাজিত করার চাইতে তাদের “প্রশমিত” করা অনেক সময় বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এতে মানসিক চাপ কমে, সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকে, এবং ব্যক্তিগত উন্নতির পথ উন্মুক্ত হয়।
গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রুকে প্রশমিত করার বিভিন্ন উপায়
আমাদের চারিপাশে নানান ধরনের মানুষ থাকেন তাদের মধ্যে কেউ বন্ধু আবার কেউ অজানা শত্রু অর্থাৎ তাদেরকে দেখে বোঝা যায় না যে তারা আমাদের লুকিয়ে লুকিয়ে ক্ষতি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন। আসুন আমরা এই প্রবন্ধের মাধ্যমে জেনে নেই কি করে চিনবো সেই সকল অজানা শত্রুকে এবং সেই সঙ্গে জানব তাদের থেকে দূরে থাকার অসাধারণ কিছু টেকনিক।
![]() |
| গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রু |
১) আপনার কোন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আপনার প্রতি শত্রুতায় মেতে থাকলে রেবতী শনিবার থেকে একটি তামার ঘটে। রক্ত চন্দন বাটা, মাস কলাই, তামার সাপ, গোল সাটকি ঝিনুক, কড়ি, তেঁতুল বীজ যথাক্রমে ৭টি করে ঘটের ভিতর রেখে ছাগলের দুধ ও প্রবাহিত নদীর জল দিয়ে পূর্ণ করে ঐ দিনই ঘুমানোর আগে মাথার কাছে রাখুন এবং প্রভাত কালে ঘুম থেকে উঠে, তিন মাথা রাস্তর মাথায় গিয়ে ঘটের মধ্যের দ্রব্যগুলো পুতে দিন। পর পর আট শনিবার করলে দেখবেন শত্রু সকল বিবাদ ভুলে গিয়ে আপনার সাথে মিত্রতা করার। চেষ্টা চালাবে। শুধু এখানেই শেষ নয় অদূর ভবিষ্যতে ঐ শত্রুই পরম মিত্র হয়ে থাকবে এবং সংকটকালে আপনার পাশে এসে দাড়াবে।
২) কোন নির্জন স্থানে দুটি গর্ত তৈরী করুন একটি গর্তে ৪৭ টি মাস কলাই, ৪৯টি ধান, ৯টি কড়ি, ৩টি জ্যান্ত শামুখ, বাবলা, ডালিম ও ডুমুর পাতা যথাক্রমে ২২টি করে গর্তে দিয়ে তার উপর ছাগলের। দুধ ঢেলে দিন এবং একটি পাতিলেবু এক কোপে কেটে তার রস নিংড়ে দিন। এবার দ্বিতীয় গর্তে একটি জোক, ৮৫টি মাসকলাই, ৪টি রুড়ি, একটি বামাবর্ত শঙ্খ, ৯টি অচল মুদ্রা, ঘোড়ার বিস্টা ও তামার টুকরো রেখে তার উপর ভূর্জপত্রে স্বীয় বামহাতের কনিষ্ঠার রক্ত দ্বারা শত্রুর নাম লিখে আলতা ঢেলে দিন, তারপর তিনটি লেবুর উপর শত্রুর নাম লিখে লেবু তিনটিও গর্তের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে মাটি দ্বারা। চাপ দিয়ে রাখুন দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শত্রু ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং নিজের ভুল স্বীকার করে। আপনার সাথে আপোষ মিমাংসা করার জন্য ছুটে আসবে।
৩) কোন অমাবস্যা শনি মঙ্গলবার রাত্র দ্বিপ্রহরে একটি কালো সিল্কের কাপড়ের উপর কচ্ছপের। হাড়, বাদুরের হাড়, কাকের হাড় ও বিড়ালের হাড়, জ্যান্ত শামুখ, কড়ি, গিলে, তেতুল বীজ, তালের শিকড়, চুন, হলুদ, মরিচ, সন্দবলবণ এক সঙ্গে মিশ্রিত করে জলপাই গাছের নিখুঁত পাতার উপর পাশে জাফরান কালিদিয়ে কালিদিয়ে শত্রুর নাম লিখে কাপড়ের সঙ্গে বেঁধে একটা পুটলী তৈরী করুন উক্ত পুটলিটি ত্রিমোহনা নদীর চরে পুতে দিন, এ কার্য সম্পাদন করে এসে একটি কালো গরুকে গম, গুড় ও তিল মিশ্রিত করে খাওয়ান দেখবেন ১৯ দিনের মধ্যে শত্রু সকল প্রকার বিবাদ ভুলে গিয়ে মিটমাট করার জন্য পাগল প্রায় অবস্থাপন্ন হবে। অবশ্য এতে নিজের আত্মবল ও বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে সকল বাঁধা সহজে অতিক্রম করতে পারবেন।
(৪) আদ্য নক্ষত্র শনিবারে শ্বেত বেড়েলার মূল, আপাংয়ের মূল, বাঁশের মূল, কাক ও কবুতরের বিস্টা এক সঙ্গে গুড়া করে শত্রুর মাথায় ও বাড়িতে ছড়ায়ে দিলে ২৬ দিনের মধ্যে শত্রুর মুখ স্তম্ভিত হয়ে পড়বে যার ফলে আপনার আর কোন ক্ষতি তো করতেই পারবে না। করার চেষ্টা চালাবে। একাজটি কোন মামলা মোকদ্দমায় মিথ্যা ই পারবে না উপরন্তু আপনার সাথে মিত্রতা করলে সে আর আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে পারবে না। মামলা মোকদ্দমায় মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাইলে তার উপর প্রয়োগ
৫) কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে মঙ্গলবারে রাত্র তৃতীয় প্রহরে ধূপ, শ্বেত সরিষা, তিল, মরিচের বিচি, লজ্জাবতী গাছ, ককটা নটের মূল, আবির, সিদ্ধি ও নারকেলের খোসার আগুনে পুড়িয়ে তারপর অবশিষ্ট ছাই প্রবাহিত নদীর জলে ভাসিয়ে দিলে শত্রু সকল ও সন্ধবলবন এক সঙ্গে চূর্ণ করে নতুন মাটির পাত্রে প্রকার হিংসা বিদ্বেষ ভুলে আপনার স্মরণাপন্ন হবে তাতে সন্দেহ নেই। একার্য একক্রমে পর পর তিন মঙ্গলবার করলে উত্তম ফল প্রাপ্ত হবেন এমনকি উক্ত শত্রু আজীবন বন্ধু পার্টনার এমনকি জীবন সঙ্গী হয়ে পড়তেও পারে। স্থান কাল পাত্র ভেদে প্রযোজ্য হবে।
৬) কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে মঙ্গলবারে নিম গাছের ফল, লেবু, বাবলা ফল, তেতুল বীজ, দয়াল গুড়ির বীজ, শাপলা ফুল, রক্ত জবা ফুল, বাদামী আকন্দ ফুল একসঙ্গে মিশ্রিত করে তিলের তেলে জ্বালান, অতঃপর উঠিয়ে গুড়া করে শত্রুর বাড়ি, চলার পথ, বটগাছের গোড়ায়, তিন মাথা, রাস্তায় ও ত্রিমোহনা নদীতে ছড়িয়ে দিন দেখবেন ১৩ দিনের মধ্যে শত্রু বশিভূত হয়ে আপনার কাছে এসে ক্ষতির পরিবর্তে বরং উপকার করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে।
৭) একটি মাটির সরার ভিতর পাশে শশ্মশানের কয়লা দ্বারা শত্রুর নাম লিখুন এবং আর একটি সরার। ভিতর পাশে আপনার নাম লিখুন এবার শত্রুর নাম লেখা সরার ভিতর তামার সাপ, জোক, শামুখ, কড়ি, বামাবর্ত শঙ্খ ও অচল পয়সা রেখে তার উপর লেবুর রস ও ছাগলের দুধ ছিটিয়ে দিয়ে আপনার নাম লেখা সরাটি দিয়ে ঢেকে দিয়ে চতুরপার্শ্বে টেপ দিয়ে আটকে প্রবাহিত নদীতে ফেলে দিন দেখবেন ৩১ দিনের মধ্যে শত্রু আপনার গুণগান করা শুরু করবে তথা সংকট কালে কাউকেই কাছে না পেলেও ঐ শত্রুকে ঠিকই পাশে পাবেন তাতে সন্দেহ নেই।
৮) যে কোন পূর্ণা তিথিতে অর্থাৎ পঞ্চমী দশমী পূর্ণিমা বা অমাবস্যার দিনে শনিবারে কোন মৃত মানুষের শ্মশান থেকে বস্ত্র এনে ঐ বস্ত্রের উপর জাফরান কালি দিয়ে শত্রুর নাম লিখে তার উপর ঘৃত, মধু, আবির, রক্ত চন্দন, তিলের তৈল, সিঁদুর দ্বারা মিশ্রিত কাথ লেপে দিন, তারপর রাত্র তৃতীয় প্রইরে কাপড়টি নিয়ে কোন তাল গাছের ডগায় বেঁধে রেখে আসুন দেখবেন ২২ দিনের মধ্যে আপনার শত্রু আর শত্রু থাকবে না মহামিত্রে পরিণত হবে। অতএব তার উপর আজীবন ভরষা করতে পারবেন।
৯) একটু করা কালো সিল্কের কাপড়ের উপর শত্রুর মাথার চুল, শুকনা মরিচের বীজ, গোলমরিচ, তিল, কাক, কবুতর ও শেয়ালের বিষ্টা, বাঁশ, তাল ও বেতের বেতের শিকড়, কড়ি, শামুখ যে কোন প্রাণীর, দাঁত এক সঙ্গে করে একটি পুটলী তৈরী করুন অতঃপর ঐ পুটলিটি ত্রিমোহনা নদীর চরে পুতে দিন দেখবেন ৪৪ দিনের মধ্যে শত্রু বশিভূত হয়ে আপনার পরম বন্ধু হয়ে পড়বে।
দ্বিতীয়ত:- (ক) স্বর্ণ রৌপ্য তাম্র ত্রিধাতু দ্বারা ৭টি নাগ (সাপ) তৈরী করে তাদের চোখে মুখে সুরমা লাগিয়ে শোয়ার সময় পায়ের দিকে বিছানার নিচে রেখে দিন দেখবেন শত্রুর উৎপত্তি কমে যাবে।
(খ) ত্রিধাতু দ্বারা মাছ তৈরী করে সেই মাছের পেটের মধ্যে জোড়া দেওয়ায় আগে বগলা মুখী যন্ত্র অথবা সাটকি ঝিনুক (গোল ঝিনুক) ঢুকিয়ে দিন তারপর ঐ মাছটি প্রত্যহ শোবার আগে বালিশের নিচে রেখে দিন দেখবেন। গোপন শত্রুর উৎপত্তি কমে আসবে। (গ) কোন পরিচিত শত্রুর দ্বারা অতিষ্ট হয়ে উঠলে ভুর্জপত্রে শত্রুর নাম। পিতার নাম মাতার নাম জাফরান কালী দ্বারা লিখে ঐ কাগজটির লেখার পাশ কাস্তে অর্থাৎ যেটা দ্বারা ধান। কাঁটা হয় ঐ কাস্তের ধারালো পাশে উপুড় করে দিয়ে কালো সুতা দ্বারা পেচিয়ে বালিশের নিচে রেখে দিন।
এছাড়া কর্ম অর্থ মোক্ষ লাভ ও শত্রু দমনের বিভিন্ন উপায় তথা সফলতার বিভিন্ন টিপস্ রয়েছে। যেমন-হঠাৎ বিপর্যস্ত, বর্যস্ত, ব্যবসায় করণীয়তা, সন্তানদের দের বিদ্যাপরিকল্পনায় বাঁধা আসলে, পিতাপুত্রের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি, মা-সন্তানের মতানৈক্য, আকস্মিক ভাগ্য বিপর্যয়, যানবাহনের ব্যবসায় মন্দ বা বারংবার যানবাহন খারাপ হয়ে পড়ে থাকা, উচ্চ শিক্ষায় বাঁধা, বিদেশ গমণ হঠাৎ পণ্ড হবার উপক্রম, ডাক্তারের পর ডাক্তার দেখানো হচ্ছে কিন্তু রোগী ভাল হচ্ছে না, সন্তানদের উপর কু-নজর লাগা, মানসিক উদ্বেগ দূর করা, মানসিক অস্থিরতা দূর করার উপায় গুলো জানতে সাক্ষাৎ অথবা ফোনে জেনে নিয়ে তিথি' নক্ষত্র বার সহ শুভ যোগে সম্পন্ন করতে পারলে আশাকরি স্বল্প খরচে বাড়ি বসে অনেক সুমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তাছাড়া ওঝা, কবিরাজ, ফকির, দরবেশ, তান্ত্রিক, ভয়ে পাওয়া মা, জীন পরীর কাছে ধর্ণা দিতে হবে না। সর্বপরি বলব তন্ত্র মন্ত্র যন্ত্র ও টোটকা বিষয়ে বিষদ জানতে আমার এক অবিস্মরণীয় দুর্লভ গ্রন্থ "আধুনিক তন্ত্র সাধনা" বইটি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। আমি অত্যান্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছি সংকটকালে আপনাকে কিছুনা কিছু সাহায্য করবেই করবে সেই সঙ্গে বাঁচবে মহামূল্যবান সময় ও অর্থ।
শত্রুকে প্রশমিত করার মানসিক কৌশল
আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও শান্ত থাকা
উত্তেজনা বা রাগ দেখালে শত্রু আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। শান্ত থাকলে আপনি পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেন। গভীর শ্বাস নেওয়া, বিরতি দেওয়া, এবং চিন্তা পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।
শত্রুর উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করা
প্রতিটি শত্রুরই একটি উদ্দেশ্য থাকে—ইর্ষা, প্রতিযোগিতা, ভয় অথবা ব্যক্তিগত বিরোধ। উদ্দেশ্য বুঝে গেলে কৌশল ঠিক করা সহজ হয়।
ব্যক্তিগত সীমা তৈরি করা
মানসিক ও সামাজিক সীমা তৈরি করলে শত্রু আপনার ওপর কম প্রভাব ফেলতে পারে। কোন কথায় সাড়া দেওয়া উচিত এবং কোনটি উপেক্ষা করা উচিত তা ঠিক করুন।
Q1: গুপ্ত শত্রু কাকে বলে?
A: যারা সামনে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করলেও আড়ালে ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাদেরই গুপ্ত শত্রু বলা হয়। তারা সাধারণত ঈর্ষা, প্রতিযোগিতা বা ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে এমন আচরণ করে।
Q2: প্রকাশ্য শত্রু কীভাবে চিনবো?
A: প্রকাশ্য শত্রু সরাসরি বিরোধিতা করে, প্রকাশ্যে রাগ দেখায় এবং আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে চায়। তাদের আচরণ লুকানো নয়, স্পষ্ট।
Q3: শত্রুকে প্রশমিত করার সবচেয়ে সহজ উপায় কী?
A: শান্ত থাকা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা, নরম কিন্তু দৃঢ় ভাষায় কথা বলা এবং ভুল বোঝাবুঝি দূর করা—এসবই শত্রুকে প্রশমিত করার সবচেয়ে সহজ উপায়।
উপসংহার
গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রু জীবনে থাকবেই, কিন্তু বুদ্ধিমত্তা, যোগাযোগ দক্ষতা, কূটনীতি এবং ইতিবাচক মনোভাবের মাধ্যমে তাদের সহজেই প্রশমিত করা যায়। শত্রুর সাথে যুদ্ধ নয়, বরং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা—এটাই প্রকৃত জ্ঞান।এই সকল কাজ সঠিকভাবে করলে আপনার যত গুপ্ত শত্রু থাকেনা কেন সবাই আপনার পরম বন্ধু হয়ে যাবে। আপনার জীবন হবে শান্তিময় ও সুন্দর। আরো পরামর্শমূল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।
