রাশি অনুসারে বিবাহে বাধার প্রতিকার | জ্যোতিষশাস্ত্রে সমাধান
বিবাহে বাধার মূল কারণ হল গ্রহনক্ষত্রের কু-প্রভাব। অনেক সময় দেখা যায় বয়সের সাথে গ্রহনক্ষত্র চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে শুভ দশাস্তদশায় একটু বেশি বয়সে বিবাহ হয় আবার রাশি চক্রে চির কমার/চির কুমারী যোগও থাকে। এসকল একল চিরকুমার বা চির কুমারী যোগে বিবাহ হওয়া অত্যন্ত কঠিন ও বিবাহ করানো অনেকাংশে বংশে দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় এমনকি শত চেষ্টা করেও বিবাহ করানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। এক্ষেত্রে মন্ত্র, তন্ত্র, তাবিজ, কবচ, রত্নপাথর, হোম যজ্ঞ সবই বিফলে যায়।
![]() |
| রাশি অনুসারে বিবাহে বাধার প্রতিকার |
রাশি অনুসারে বিবাহে বাধার প্রতিকার
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বিবাহে বাধা বা বিলম্বের পেছনে গ্রহের অশুভ দশা, বিশেষত বৃহস্পতি (বিবাহের কারক গ্রহ) বা শুক্র (ভালোবাসা ও সম্পর্কের কারক গ্রহ)-এর দুর্বলতা কিংবা মাঙ্গলিক দোষ ইত্যাদি কারণ থাকতে পারে। এই বাধা কাটাতে প্রতিটি রাশির জাতক-জাতিকার জন্য কিছু নির্দিষ্ট টোটকা বা প্রতিকার প্রচলিত আছে, যা গ্রহের অবস্থানকে অনুকূল করে বিবাহের পথ সুগম করতে সাহায্য করে।মেষরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
ধন পতি ও সপ্তমপতি শুক্রাচার্যের পাপগ্রহ যুক্ত পাপগ্রহ দৃষ্ট সেই সঙ্গে মাঙ্গলিক দোষযুক্ত হলে বা কালসর্প যোগ যুক্ত হওয়ায় বারংবার বিবাহের সম্বন্ধ এসেও ভেঙ্গে যায় তথা বয়স বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে এসে মনে হয় আর বিবাহ সম্ভব হবে না এমতবস্থায় গ্রহগত প্রতিকার রত্ন পাথরের সাথে প্রজাপতি কবচ ধারণ করুন ও মৃগশিরা নক্ষত্রে শুক্রবারে দুইঞ্চি স্বর্ণ বা পার মূল, অনন্ত মূল, ডালিম মূল বংশমূল এক সঙ্গে বেঁধে কাচা হলুদ বাটা, চন্দন বাটার সাথে, ঘৃত, মধু, গোলাপজল, পঞ্চগব্য মিশ্রিত করে তার মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন এবং সেখান থেকে তুলে একটি ত্রিধাতুর কবচে পুরে ছেলে হলে ডান বাহুতে আর মেয়ে হলে বাম বাহুতে ধারণ করুন। অতপর পাত্র বা পাত্রী পক্ষ দেখতে আসলে শ্বেত লজ্জাবতীর শিকড়, অশ্বথ গাছের শিকড় ও মানকচুর শিকড় এক সঙ্গে বেটে কপাল ও মাথায় লাগিয়ে দেখা দেখি করালে শুভফল প্রাপ্ত হবেন অর্থাৎ শিঘ্র বিবাহ কার্য সু-সম্পন্ন হবে। বিবাহের পর দাম্পত্য সুখ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বরকনে উভয়ে মিলে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর স্মরণাপন্ন হয়ে প্রতিকার গ্রহণ করা সমীচিন হবে।বৃষরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
বৃষরাশির জাত ব্যক্তিদের সপ্তম ও দ্বাদশ পতি দেবসেনাপতি মঙ্গলের অশুভ প্রভাবে যেমন মাঙ্গলিক দোষ, রাহু মঙ্গল ও শনির পরস্পর দৃষ্টি, রাহু মঙ্গল বা রাহু শনি যুক্ত বিভিন্ন কারণে তথা পাপ গ্রহের দর্শান্তদশায় বিবাহে প্রবল বাধা এসে পড়ে যারফলে শত চেষ্টা করেও পাত্র পাত্রীর বিবাহ দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। দিশেহারা অভিভাবকেরা হন্যে হয়ে ছুটে বেড়ায়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ জ্যোতিষী দ্বারা গ্রহগত প্রতিকার রত্নপাথরের সাথে ধুমাবতী যন্ত্র কবচ ধারনের সঙ্গে মৃগশিরা অথবা শতভিষানক্ষত্রে শুক্রবারে রক্ত করবীর মূল, বটের মূল, তালের মূল ও রামবাসকের মূল একত্রে সাদা সুতা দ্বারা বেঁধে তিন ঘন্টা ছাগদুগ্ধ ঘৃত মধু পঞ্চামৃত ও ইক্ষুচিনি মিশ্রিত কাথের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে। একটি রূপার তাবিজে ভরে পুরুষেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন। সেই সঙ্গে পাত্র বা পাত্রীপক্ষ দেখা দেখি করতে আসলে শিষ বটের শিকড়, কলার শিকড়, ডুমুরের শিকড় ও পদ্ম। স্কুলের শিকড় এক সঙ্গে বেটে কপালে, কাধে ও নাভিতে তিলকের ন্যায় ফোটা লাগিয়ে দেখা দেখি ও আলাপ আলোচনা করলে বিবাহের কথা বার্তা পাকা পাকি হয়ে যাবে। অবশ্য বিবাহোত্তর সুখ শান্তি প্রতিষ্ঠার সাথে সু-সন্তান লাভের জন্য বরকনে উভয়ে মিলে সৎ বিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ মুত চললে অধিক সু-ফল লাভ হবে।মিথুনরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
মিথুন রাশির জাত ব্যক্তিদের সপ্তম ও দশম পতি দেবগুরু বৃহস্পতি পাপ গ্রহ যুক্ত দৃষ্ট হলে সেই সঙ্গে কালসর্প যোগ, ভৌমদোষ প্রভৃতি থাকলে বিবাহে বাধার কারণ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পাপ গ্রহের দশান্তর্দশা বাদে শুভগ্রহের দশান্তদশার বিচার পূর্বক রত্ন পাথর ধারণের সাথে ধূমাবতী যন্ত্র কবচ ধারণ করুন সেই সঙ্গে উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্রে বৃহস্পতিবারে বামুন হাটির মূল, শশার মূল, শ্বেত চন্দনের মূল ও হলুদ করবীর মূল এক সঙ্গে হলুদ সুতা দ্বারা বেঁধে অতপর বট, নারকেল, সুপারী ও -তালের শিকড়, রক্ত চন্দন, সিদ্ধি ও কপূর এক সঙ্গে বেটে গোদুগ্ধসহ কাথ তৈরী করে তাতে তিন ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে একটি স্বর্ণের তাবিজে ভরে পুরুষেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন। -তারপর পাত্র বা পাত্রীপক্ষ দেখা দেখি করার সময় লাল লজ্জাবতীর শিকড়, শেওলার শিকড়, কচুরিপনার - ফুল ও কাঁশফুলের শিকড় এক সঙ্গে মিশ্রিত করে বেটে কপালে ও দুই পায়ের তলায় ফোঁটা দিয়ে পাত্র পাত্রীর দেখা দেখি করালে বাধা দূর হয়ে শীঘ্রই বিবাহ কার্য সু-সম্পন্ন হবে। অতপর বিবাহোত্তর সুখশান্তি প্রতিষ্ঠা ও সু-সন্তান লাভের জন্য অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ মত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সুখ শান্তিময় জীবন যাপন করতে সক্ষম হবেন।কর্কটরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
কর্কট রাশির জাত ব্যক্তিদের সপ্তম অষ্টমপতি শনি মহারাজের রাহুর যুতি, রাহুর দৃষ্টির সঙ্গে মাঙ্গলিক দোষ, কালসর্প দোষ প্রভৃতি দোষ থাকলে বিবাহে বাধার কারণ হয়ে দাড়ায়। একেতো শনি মহারাজ তার উপর মাঙ্গলিক দোষ বা কালসর্প দোষ শুধু বিবাহে বাধা ঘটিয়েই ক্ষ্যান্ত হবে। না এমনকি জাতব্যক্তিদেরকে দুরখার্ণবে পতিত হয়ে বনবাস, শ্মশান বাস, মন্দির বাস, তীর্থবাস এমনকি আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে জ্যোতিষিক প্রতিকার রত্নপাথরের সাথে মহামৃত্যুঞ্জয় যন্ত্র ধারণ করুন সেই সঙ্গে শ্রাবনা বা জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রে শনিবারে চিরতার মূল, কাঁঠালী কলার মূল, শ্বেত। বেড়েলার মূল ও অশ্বথ বটের মূল এক সঙ্গে নীল সুতা দ্বারা বেঁধে তিন ঘন্টা শ্বেত চন্দন, শ্বেত করবীর। মূল, শ্বেত আকন্দের মূল ও দুধ সাগর কলার মূল এক সঙ্গে বেটে গোদুগ্ধসহ কাঁথ তৈরী করে তার মধ্যে। ভিজিয়ে রাখুন সেখান থেকে তুলে একটি দস্তার তাবিজে ভরে পুরুষেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম। বাহুতে ধারণ করুন। এর সাথে যখন পাত্র বা পাত্রী পক্ষের মধ্যকার দেখা দেখির পরিবেশ তৈরী হবে। তখন রক্ত চন্দন, গোরচনা, প্রিয়ঙ্গু, জয়িত্রী এক সঙ্গে বেটে কপালে দুই হাতের তালুতে ও পায়ের গোড়ালিতে ছোট্ট তিলকের ন্যায় ফোঁটা লাগিয়ে পাত্র পাত্রী দেখা দেখি হলে অবশ্যই বিবাহের পথ প্রশস্ত। হবে। অতপর বিবাহোত্তর সুখ শান্তি সমৃদ্ধি ও দাম্পত্য জীবনের অগ্রপশ্চাৎ মৃত্যুদোষ ও সু-সন্তান লাভের জন্য সুযোগ্য। অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শমত ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করুন দেখবেন আপনার দাম্পত্য জীবন মহাসুখে অতিবাহিত হবে।সিংহরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
সিংহ রাশির জাতব্যক্তিদের সপ্তমপতি শনি মহারাজের পাপ গ্রহযুক্ত দৃষ্ট পাপগ্রহের। দশান্তদশার সঙ্গে মাঙ্গলিক দোষ ও কাল সর্পদোষ যুক্ত থাকলে সে ক্ষেত্রে বিবাহ অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে গ্রহরত্ন পাথর ব্যবহারের সাথে দক্ষিণাকালী যন্ত্র কবচ ধারণ করুন ও পরিছন্ন শুদ্ধাবিখে অনুরাধা বা শতভিষা নক্ষত্রে রবিবারে শ্বেত বেড়েলার মূল কাঁঠালের। মূল, পাটের মূল ও আমলকীর মূল একত্রে নীল সুতা দ্বারা বেঁধে তিন ঘন্টা শ্বেত চন্দন, অন্তরু, ছাগদুগ্ধ। ও কামরাঙ্গার শিকড বাটা কাঁথের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সেখান থেকে তুলে একটি চারিধাতর কবচের মধ্যে ঢকিয়ে মেয়েরা বাম বাহুতে আর ছেলেরা ডান বাহুতে ধারণ করুন। তারপর যখন পাত্র পাত্রী পথ পাকা হয়ে দেখা দেখি হবে তখন কলার মূল, কচুর মূল, বংশ মূল ও নীল অপরাজিতার মূল এক সঙ্গে কেটে কপালে কানে তিলকের ন্যায় ফোঁটা দিয়ে দেখা দেখি করুন দেখবেন শীঘ্রই বিবাহের পৃথ স্ত্রী মিলে কোন পড়বে এবং অল্প দিনের মধ্যে বিবাহ কার্য স-সম্পন্ন হবে। অতপর বিবাহোত্তর স্বামী স্ত্রী মিন সুন্নতি অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ মত ব্যবস্থাপত্র ধারণ করুন দেখবেন দাম্পত্য জীবন তথা সন্তান নিয়ে সুখে জীবন যাপন করতে সক্ষম হবেন।কন্যারাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
কন্যা রাশির সপ্তম ও চতুর্থ পতি দেবগুরু বৃহস্পতির অশুভপ্রভাবের সাথে রাহু মঙ্গল শনির কু-প্রভাব যুক্ত হলে সেই সঙ্গে মাঙ্গলিক দোষসহ কালসর্পদোষ থাকলে পাত্র পাত্রীর বিবাহে বিলম্ব ঘটে। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ জ্যোতিষ দ্বারা বিচার বিশ্লেষণ পূর্বক রত্ন পাথর ধারণ ও ধুমাবতী যন্ত্র কবচ ধারণ করুন, সেই সঙ্গে যে কোন মৃগশিরা বা ধনিষ্ঠা নক্ষত্রে বুধবারে গাত্র হরিদ্রার মূল, বৃদ্ধ দ্বারকের মূল, ডালিম মূল ও শেফালী ফুলের মূল এক সঙ্গে সবুজ সুতা দ্বারা বেঁধে তিন ঘন্টা কাঁচা হলুদ, শিংমাছের লেজ, শাখা ও হলুদ করবী ফুলের শিকড় বাটার সাথে গোদুগ্ধ মিশ্রিত কাঁথের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন, সেখান থেকে তুলে একটি ত্রিধাতুর কবজে পুরে পুরুষেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন সেই সঙ্গে পাত্র পাত্রী দেখা দেখির পরিবেশ হলে হলুদ বেড়েলার মূল, শ্বেত চন্দন, কামিনী ফুলের শিকড় ও হলুদ বেটে কপাল ও বুকে পীঠে তিলকে ফোটা দিয়ে দেখা দেখি করান দেখবেন শিঘ্রই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে। অতপর বিবাহোত্তর সুখ শান্তি সমৃদ্ধি তথা সু-সন্তান কামনায় অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শমত চলুন দেখবেন ভগবান শংকর আপনার মন বাসনা পূরণ করবে।তুলারাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
তুলা রাশির জাতব্যক্তিদের ধুন ও সপ্তমপতি মঙ্গলের কু-প্রভাব, রাহু শনি মঙ্গলের যুতি তথা মাঙ্গলিক দোষ ও কালসর্প চিহ্ন যুক্ত হলে বিবাহে প্রবল বাঁধা দেখা দেয় শুধু এখানেই শেষ নয়। এদের জীবনে প্রেমে ব্যর্থতা আসে, ছাড়াও বিবাহের পিঁড়ি থেকে বিবাহ ভেঙ্গে যায় সেক্ষেত্রে বিজ্ঞ পণ্ডিত। জ্যোতিষীদ্বারা আপনার জন্মছক বিচার করিয়ে, রত্নপাথর ধারণ করুন, সেই সঙ্গে বংশলাভাক্ষ যন্ত্র কবচ। ধারণ করুন। তারপর চিত্রা বা পূর্বাষাড়া নক্ষত্রে রামবাসকের মূল, অনন্তর মূল, সুপারীর মূল ও তালের মূল এক সঙ্গে ঘিয়ে রঙের সুতা দ্বারা বেঁধে তিন ঘন্টা শ্বেত চন্দন, শ্বেত করবীর শিকড়, শ্বেত অপরাজিতার শিকড় ও অশ্বথ বটের শিকড় বেটে গোলাপজল দ্বারা কাথ তৈরী করে তার মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে একটি তামা ও দস্তা মিশ্রিত কবচের মধ্যে পুরে ছেলেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন। সেই সঙ্গে পাত্র পাত্রী দেখা দেখির পরিবেশ হলে কামিনী ফুলের শিকড়, শ্বেত করবীর শিকড়, ডালিমের শিকড় ও কলার শিকড় বাটার সাথে মাখন মত্তিয়া মিশ্রিত করে কপালে ও গলায় তিলকের ন্যায় ফোঁটা দিয়ে পাত্র পাত্রী দেখা দেখি করায় দেখবেন শিঘ্রই সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে বিবাহ কার্য সু-সম্পন্ন হবে। অতপর বিবাহোত্তর সুখী জীবন যাপন ও সু-সন্তানের লক্ষ্যে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর মতমতন চলুন দেখবেন আপনাদের জীবন মহিমান্বিত হবে।নক্ষত্রে বৃশ্চিকরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
বৃশ্চিক রাশির সপ্তম ও দ্বাদশ পতি প্রেমের দেবতা শুক্রাচার্যের কু-প্রভাবের সাথে রাহু শনি মঙ্গুলের দৃষ্টিপাত অপরদিকে কাল সর্প দোষ, মাঙ্গলিক দোষ এক সঙ্গে মিলিত হলে সেই জাত ব্যক্তিদের জীবনে বিবাহে অধিক বিলম্ব ঘটে। সেক্ষেত্রে সৎ অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ মতন রত্নপাথরের সাথে, ধুমাবতী যন্ত্র কবচ ধারণ কর্তব্য, সেই সঙ্গে পূর্বাষাঢ়া ও জ্যেষ্ঠ নক্ষত্রে মঙ্গলবারে রামবাসকের মূল, মূল সিংহপুচ্ছের মূল; অপামার্গের মূল ও অশ্বগন্ধার মূল একত্রে একটি বেগুনী রঙের সুতা দ্বারা বেঁধে, তিন ঘন্টা যাবৎ শ্বেত চন্দন বাটা, শ্বেত শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত লজ্জাবতী লজ্জাবতী ও শ্বেত করবী ফুলের মূলের সঙ্গে ছাগলের দুধের তৈরী কাথের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। সেখান থেকে তুলে একটি ত্রি-ধাতর কবচে পুরে, ছেলেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন। এরপর যখন পাত্র ও পাত্রী দেখা দেখি হবে তখন পান, সুপারীর মূল, নারকেলের মুল ও কদম গাছের মূল এক সঙ্গে বেটে কপাল ও নাভিতে তিলকের ফোটা দিয়ে পাত্র ও পাত্রীর দেখা দেখি করায় দেখবেন শীঘ্রই পাত্র পাত্রীর মিলন ঘটবে। অতপর বিবাহত্তর দাম্পত্য সুখ শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সু-সন্তান লাভের জন্য জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদের পরামর্শ মত চলুন দেখবেন মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার সকল মনোবাসনা পূরণ করবে।ধনুরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
ধনু রাশির জাত ব্যক্তিদের সপ্তম ও দশমপতি বুধের পাপস্তরার সাথে রাহু মঙ্গল শনির যুতি বা দৃষ্টি পাত সেই সঙ্গে মাঙ্গলিক দোষ বা কালসর্প দোষ যুক্ত হলে সেক্ষেত্রে বিবাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে জ্যোতিষীর পরামর্শ মোতাবেক রত্নপাথর ধারণের সাথে মাতঙ্গীনী যন্ত্র কবচ ধারণ। করুন। সেই সঙ্গে পূর্বাষাঢ়া বা রেবতী নক্ষত্রে শুক্রবারে বৃদ্ধদ্বারকের মূল, পাটের মূল ও পদ্ম ফুলের মূল এক সঙ্গে হলুদ সুতায় বেঁধে তিন ঘন্টা গরুর দুধ, কলা, কচু, তালের মূল ও শশার মূল এক সঙ্গে বেটে সেই কাথের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন, সেখান থেকে তুলে একটি স্বর্ণের কবচে পুরে ছেলেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন। দেখবেন শীঘ্রই পাত্র বা পাত্রী আসা শুরু হবে। অতপর যেদিন পাত্র পাত্রী দেখা দেখি হবে সেই দিন কাচা হলুদ, জয়ফল, শ্বেত লজ্জাবতীর শিকড় ও মানকচুর শিকড় এক সঙ্গে বেটে তিলকের ফোঁটার মত কপাল ঘাড়, বুক ও পীঠে ফোঁটা দিয়ে পাত্র পাত্রী দেখা দেখি করান দেখবেন শীঘ্রই তাদের মিলন ঘটবে। অতপর সুখ শান্তিময় দাম্পত্য জীবনের শ্রীবৃদ্ধি তথা সু-সন্তান রাভের জন্য বিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ মত চলুন দেখবেন সকল মনোবাসনা একে একে পূরণ হবে।মকররাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
মকর রাশির সপ্তমপতি চন্দ্র বাধার সৃষ্টি বিশেষ না হলেও শনিই মকর রাশির জাত ব্যক্তিদের বিবাহে বাধার কারণ হয়ে থাকে। অপরদিকে রাহু মঙ্গলের কু-প্রভাব, মাঙ্গলিক দোষ ও কালসর্প দোষ থাকলে সেক্ষেত্রে জ্যোতিষ শাস্ত্র ব্যক্তির সাথে পরামর্শ পূর্বক রত্নপাথর ধারণের সাথে। দক্ষিণাকালী যন্ত্র কবচ ধারণ করুন। সেই সঙ্গে রোহিনী শতভিষা নক্ষত্রে সোমবারে শ্বেত বেড়েলা, শ্বেত আকন্দ, ক্ষিরিকা ও বংশ লোচনের মূল এক সঙ্গে সাদা সুতায় বেঁধে তিন ঘন্টা রক্ত চন্দন অগুরু, কুমকুম ও কামিনী ফুলের পাতা বাটার সাথে ঘৃত মধুসহ কাঁথ তৈরী করে ভিজিয়ে রাখুন, সেখান থেকে তুলে একটি রুপার কবচে পুরে ছেলেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন দেখবেন পাত্র পাত্রীর আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। এবার পাত্র পাত্রী দেখা দেখি দেখি করাবার করাবার আগে লজ্জাবতীর, বট, তাল ও তেতুলের শিকড় এক সঙ্গে বেটে কপালে ও মাথার পিছন পাশে তিলকের ন্যায় ফোঁটা দিয়ে পাত্র পাত্রীর দেখা দেখি করান দেখবেন আপনার মনমত সময়ে তাদের বিবাহ কার্য সু-সম্পন্ন হয়ে পড়বে। অতঃপর বিবাহোত্তর সুখ শান্তি সমৃদ্ধি তথা সু-সন্তান লাভের জন্য অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ মোতাবেক চলুন দেখবেন আপনাদের জীবন সুখের হতে বাধ্য।কুম্ভরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
কুম্ভ রাশির জাত ব্যক্তিদের জীবনে বাধা আসবে এটা যেন নিয়মে পরিনত হয়ে আছে। সপ্তম পতি রবি রবি অপেক্ষা শনি মঙ্গল ও রাহুই এর জন্য বেশি দায়ী হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে ভৌমদোষ বা কালসর্প দোষ থাকলেতো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে প্রথমে দরকার অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শমত রত্নপাথর ধারণ গ্রহের কু-প্রভাব থেকে মুক্ত হবার জন্য সেই সঙ্গে একটি প্রজাপতি কবচ ধারণ করুন। তারপর কৃত্তিকা বা ধনিষ্ঠা নক্ষত্রে রবিবারে বিল্বমূল, অপামার্গের মূল, সুপারীর মূল ও পলাশ ফুলের মূল এক সঙ্গে লাল সুতা দ্বারা বেঁধে তিন ঘন্টা অগুরু, রক্ত চন্দন, রক্ত করবীর মূল ও সবরীকলার মূল এক সঙ্গে বেটে দুধ দ্বারা নির্মিত কাঁথের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন সেখান থেকে তুলে একটি তামার তাবিজে পুরে ছেলেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন দেখবেন দ্রুত পাত্র বা পাত্রীর আনাগোনা শুরু হবে। তারপর যেদিন পাত্র পাত্রী দেখা দেখি হবে সেদিন লজ্জাবতীর মূল জগডুমুরের মূল, বটের মূল ও ডালিমের মূল বাটার সাথে দুধ মিশিয়ে কপালে গলায় ও পায়ের পাতায় তিলকের ফোটা দিয়ে পাত্র পাত্রী দেখা দেখি করান দেখবেন শীঘ্রই বিবাহ কার্য সু-সম্পন্ন হবে। অতপর বিবাহের পর সৎ বিজ্ঞ জ্যোতিষী পন্ডিতের পরামর্শ মত চলুন তাহলে দাম্পত্য জীবন তথা কর্ম অর্থাত মোক্ষ লাভের সাথে সু-সন্তান লাভের পথ প্রশস্ত হবে।মীনরাশির বিবাহে বাধার প্রতিকার
মীন রাশির জাত ব্যক্তিদের সপ্তম ও চতুর্থ পতি বুধের কু-প্রভাব সেই সঙ্গে পাপগ্রহ। দৃষ্ট যুক্ত তথা মাঙ্গলিক দোষ কালসর্প দোষ প্রভৃতি থাকলে বিবাহে শুধু মাত্র বাধাই নয় যেন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ মত রত্নপাথর ধারণ ও ভুবনেশ্বরী যন্ত্র কবচ ধারণ করুন। সেই সঙ্গে মূলা ও জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে বুধবারে বৃদ্ধদারকের মূল, আমলকী মূল, সিংহ পুচ্ছমূল ও অপামার্গের মূল এক সঙ্গে সবুজ সুতা দ্বারা বেঁধে তিন ঘন্টা নারকেল সুপারী বট ও ডুমুরের মূল বাটার সাথে ছাগ দুগ্ধ মিশ্রিত কাঁথের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে ত্রিধাতুর কবচে পুরে ছেলেরা ডান বাহুতে আর মেয়েরা বাম বাহুতে ধারণ করুন দেখবেন পাত্র পাত্রীকে খোঁজা শুরু হয়ে গেছে। তারপর যখন পাত্র পাত্রী দেখা দেখির সময় আসবে তখন শ্বেত চন্দন, পলাশ ফুলের মূল, রক্ত জবার মূল ও নিম গাছের মূল এক সঙ্গে বেটে মাখন সহ মিশ্রিত করে কপালে পায়ের তলায় ও মাথার ব্রহ্ম দ্বারে তিলকের মত ফোঁটা-দিয়ে পাত্র পাত্রী দেখা দেখি করান দেখবেন অতি দ্রুত বিবাহ কার্য সু-সম্পন্ন হবে। অতপর দাম্পত্য সুখ শান্তি প্রতিষ্ঠা সন্তান সন্ততি সহ আনন্দময় জীবন যাপনের জন্য জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদের পরামর্শ মোতাবেক চলুন দেখবেন অবশ্যই জীবন মহিমান্বিত হবে। এছাড়াও বিবাহে বাধা তথা সুখী দাম্পত্য জীবন লাভের ক্ষেত্রে জাতক জাতিকাকে আরও বেশ কিছু। ধাপ পার হয়ে আসতে হয় যেমন-প্রেমিক প্রেমিকার প্রেম ভেঙ্গে যাওয়া, প্রেমিক প্রেমিকা সেজে ঘাতক। প্রমাণিত হওয়া, কু-বন্ধু প্রেমিক প্রেমিকাসেজে যথা সৰ্ব্বস্ব লুফে নেয়া, গৃহশান্তি বজায় রাখতে দাম্পত্য জীবন সুখের করা, সন্তান লাভে ব্যর্থ হলে, গর্ভের সন্তান বারংবার নষ্ট হতে থাকলে, পরকীয়া প্রেম। বশিভূত থাকে। স্বামীর আর্থিক উন্নতিতে বাধা এলে, স্ত্রীকে স্বামীর বাধ্য রাখার উপায় প্রেমিক যাতে নিজের হয়, ভাঙ্গা প্রেম জোড়া লাগাতে, প্রেমিক প্রেমিকা হঠাৎ বিরূপ হলে। সন্তান সন্তুতিদের ক্যারিয়ার, অধ্যয়ন, স্বাস্থ্য ও বিৱাহ সংক্রান্ত সকল প্রকার দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পতে দীর্ঘ ২০ বছরের। অভিজ্ঞতার আলোকে অত্যন্ত প্রত্যক্ষ সিদ্ধ এক অমূল্য গ্রন্থ "প্রেম বিবাহ ও দাম্পত্য জীবনে জ্যোতিষ" নামক গ্রন্থটি সংগ্রহ করুন। আমি অত্যন্ত সততা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি বইটি জ্যোতিষ জ্যাতিষ শিক্ষার্থী জ্যোতিষী তথা সংকট কালে সকলেরই পরিপূর্ণ আশা পুরণে সহায়ক হবে। সেই সঙ্গে বাঁচবেন প্রতারক, খঞ্জরদের হাত থেকে আর বাঁচবে মহামূল্যবান সময় ও অর্থ।প্রশ্ন: রাশি অনুসারে কীভাবে বুঝবো বিবাহে বাধা আছে কি না?
উত্তর: জন্মছকের সপ্তম ভাব, মঙ্গল দোষ বা শনি-রাহুর প্রভাবে বিবাহে বাধা চিহ্নিত করা যায়।
প্রশ্ন: সকল রাশির জন্য প্রতিকার কি আলাদা?
উত্তর: হ্যাঁ, প্রতিটি রাশির জন্য গ্রহগত প্রভাব ভিন্ন, তাই তাদের প্রতিকারও আলাদা।
প্রশ্ন: রত্ন পরা কি সত্যিই উপকার করে?
উত্তর: জন্মছক অনুযায়ী সঠিক রত্ন পরলে গ্রহের ইতিবাচক প্রভাব বাড়ে এবং বাধা কমে।
প্রশ্ন: মন্ত্র জপ করলে কি বিবাহ বাধা কমে?
উত্তর: নিয়মিত মন্ত্র জপ মনশক্তিকে স্থির করে এবং গ্রহগত অশান্তি কমাতে সাহায্য করে।
