কোন মাসে গঙ্গা স্নান সবচেয়ে পুণ্যময়? জায়গা ও সময়ের তালিকা

১৫ই বৈশাখ ব্যতীপাতযোগ, গঙ্গাস্নানে ত্রিকোটি কুলোদ্ধারণ ফল। ১৬ই বৈশাখ অক্ষয় তৃতীয়া, স্নানদানে অক্ষয় পুণ্যফল। ১৬ই বৈশাখ রোহিণীনক্ষত্রযুক্ত বৈশাখী শুক্লা তৃতীয়া, গঙ্গাস্নানে ও দানে অক্ষয় ও অনন্তপুণ্যফল। ২০শে বৈশাখ জসপ্তমী, স্নানদানে শতগুণ ফুল। ২১শে জ্যৈষ্ঠ দশহরা স্নান, কেবল দশমীতে দশবিধ পাপক্ষয় কামনা পুরুকি গঙ্গাস্নান কর্তব্য। ২১শে জৈাঠ হস্তানক্ষত্রযুক্ত দশমীতে দশজন্মার্জিত দশবিধ পাপক্ষর ফল। ২৩শে জ্যৈষ্ঠ শ্রীরামদ্বাদশী/চম্পকয়াল্লীতে যমুনা নদীতে স্নান ও পিণ্ডদানে বিশেষ ফললাভ।

গঙ্গা স্নানের  ছবি hd
গঙ্গা স্নানের ছবি


২৭শে জ্যৈষ্ঠ জ্যেষ্ঠানক্ষত্রযুক্ত জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমায় গঙ্গামানে সবর্ণপাপক্ষয়ফল ও পুরুষোত্তম দর্শনে একোবিংশতি কুলোম্বরণ কামপূর্ব্বক বিষ্ণুলোক গমন ফল ও অক্ষয়পদ প্রাপ্তিলাভ। ১২ই ভাদ্র অক্ষয়বর্তী, মানদানে অক্ষয় পুণ্যফল। ১৮ই ভাত্র বামনজয়ন্তীতে গঙ্গাস্নান। ২১শে ভাদ্র পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, আনদানে কোটিগুণফল। ২রা কার্তিক চতুর্দশ যমতর্পণে নিবাস্নান কর্তব্য। ৪ঠা কার্তিক দ্যুতপ্রতিপদ, মানদানে শতগুণ হল। ১৩ই ফার্ডিক রাত্রি ৩।২৫ হইতে ১৮ই কার্তিক রাত্রি ৭৮ মধ্যে বকপঞ্চক স্নান, বকপঞ্চক মধ্যে নদীর শীতল জলে স্নান কর্তব্য। ১৮ই ফার্তিক পুষরামান। ২৯শে পৌষ রাত্রি ৯১৭ গতে সৌর মাঘমাসাববি প্রত্যহ প্রত্যুষে গঙ্গাস্নানদানাদি কর্তব্য। ২৯শে পৌর গঙ্গাসাগর সঙ্গমে আনদানাদি ও কপিলমুনির আশ্রম দর্শনলাভ ও পুজা। ২৯শে পৌৰ মকরাদি স্নান। ২৯শে পৌষ ঘাটাল সদরঘাটে মকর স্নান। ২রা মাখ পরারুণোদয়ে রটন্তী চতুর্দশী স্নান, যমাদর্শন কামনায় গঙ্গাস্নান কর্তব্য ও স্নানান্তে চতুর্দশ যমতর্পণ। ওরা মাম পূর্ব্বারুণোদয়ে রটর্তী চতুদ্দশী স্নান, যমাদর্শন কামনায় গঙ্গাস্নান কর্তব্য ও স্নানান্তে চতুর্দশ যমতগণ।

 ১০ই মাঘ পরারুণোদরে মাকরী (মার্থী) সপ্তমী স্নান, গঙ্গামানে বহুশত সূর্যাগ্রহণকালীন মানজন্য ফল সমফল। ১১ই মান পূর্ণারুণোদয়ে মাকরী (মার্থী) সপ্তমী মান, গঙ্গাস্নানে বন্ধশত সূর্বাগ্রহণকালীন স্নানজন্য ফল সনফল। ১৩ই মাথ মহানগানবমী, আানদানে অক্ষয়পুণ্যফল। ১৫ই ফাল্গুন দিয়া ১।৩৯ গতে রাত্রি ৮।৩০ মধ্যে গোবিন্দদ্বাদশী স্নান, গঙ্গাস্নানে মহাপাতক পাপক্ষয় ফল। ১৮ই ফাল্গুন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ গঙ্গাস্নানে কোটিগুণ ফল। ২রা চৈত্র বারুণী, গঙ্গামানে বছণত সূর্যাগ্রহণকালীন স্থানগুন্য ফল সমফল। ৪ঠা চৈত্র মাধবপুর চক্রতীর্থে নন্দামান ও বড়াশীগ্রামে শিবদর্শন ও মহামেলা। ৩০ণে চৈত্র মহাবিষুব সংক্রান্তি স্নান।


ও পূর্ণিমা স্নান-বৈশাখ ২৮ বৈশাখী/বুদ্ধ/মাধবী)। জ্যৈষ্ঠ ২৭(জ্যৈষ্ঠী)। আষাড় ২৫(আষাঢ়ী/শুরু)। শ্রাবণ ২৩ (প্রাবণী/সৌভাগ্য/রাখী/কুলন)। ভায় ২১ (ভাষী)। আশ্বিন ২০ (আশ্বিনী/কোজাগরী/কৌমুদী (কুমার)। কার্ত্তিক ১৮ (কার্তিকা/রাস/পট)। অগ্রগ্রহায়ণ ১৭ (মার্নী বা অগ্রহায়ণী)। পৌষ ১৮ (গৌরী/ধান্য)। মাথ ১৮ (মাঘী)। ফাল্গুন ১৮ (ফাল্গুনী/দোল/গৌর)। চৈত্র ১৮ (চৈত্রী)।


করতোয়া স্থান- জ্যৈষ্ঠ ১১। কার্তিক ২। ফাল্গুন ৩।


ওমদ্বস্তরা মান-জ্যৈষ্ঠ ২৭। আষাড় ২০।২৫। শ্রাবণ ১। ভার ১। আশ্বিন ১৪। কার্ত্তিক ১৫।১৮। পৌষ ১৪। মাথ ১১। ফাল্গুন ৪১১৮। চৈত্র ৬/১৮।


জয়গাহ্য। স্নান-বৈশাখ ১৬(সত্যযুগাদ্যা)। ভাদ্র ৪ (দ্বাপর যুগান্যা)। কার্ত্তিক ১২ (ত্রেতাযুগাদ্যা)। মাঘ ১৮(কলিযুগাদ্যা)। জঅফরা স্নান-বৈশাখ ২০ (বিজয়া)। জ্যৈষ্ঠ ১১ (মৌনী)।১৭


(বিজয়া)। আষাঢ় ১৮। আবণ ১৪। ডাত্র ৯। আশ্বিন ১১ (বিজয়া)। কার্তিক ২(মৌনী)। অগ্রহায়ণ ১০। পৌষ ৭। মাম ১১ (বিজয়া)। ফাল্গুন ৩(মৌনী)। চৈত্র ১১। ওয়াহস্পর্শ স্নান-ফৈলাখ ১২। জ্যৈষ্ঠ ১৩। আষাড় ৫। আবণ ৫।২৮। ডাত্র ২৯। আশ্বিন ২১। কার্তিক ২৪। অগ্রহায়ণ ১৭। পৌষ


১২। মাঘ ১৭। ফাল্গুন ১১। চৈত্র ৪।


খোসহতীযোগ স্থান- জ্যৈষ্ঠ ১২। আষাঢ় ১। কার্তিক ৩। ফাল্গুন ৪।


ও পুণ্যতরা স্নান-বৈশাখ ১২। জ্যৈষ্ঠ ৫। আবাঢ় ১। প্রাবণ ৫। আশ্বিন ৩। কার্ডিফ ২৪। অগ্রহায়ণ ১। পৌষ ২৫। মাথ ৩।২৭।


কামে ২৫। চৈত্র ২। এএখপুত্র আান- চৈত্র ১১।


ওসংমনতি স্নান-বৈশাখ ৩১ (বিষ্ণুপদী)। জ্যৈষ্ঠ ৩১ (বড়শীতি)। আবাঢ় ৩২ (দক্ষিণায়ন)। প্রাবণ ৩১ (বিকূপনী)। ডাত্র ৩১ (ষড়শীতি)। আশ্বিন ৩১ (জলবিবুব)। কার্তিক ৩০ (বিষ্ণুপদী)। অগ্রহায়ণ ২১ (বড়শীতি)। পৌষ ২৯ (উত্তরায়ণ/মকর/পৌষ/দখি)। মাথ ৩০ (বিষ্ণুপদী)। ফাল্গুন ৩০ (ষড়পতি)। চৈত্র ৩০ (মহাবিষুব চৈত্র)।


কলকাতার সম্মুখস্থ গঙ্গার জোয়ার-ভাঁটার সময়:

কলকাতার সম্মুখস্থ গঙ্গা (হুগলি নদী) নদীতে জোয়ার-ভাঁটার সময় সমুদ্রের জোয়ার-ভাঁটার ওপর নির্ভরশীল। সাধারণত, হুগলি নদীতে দিনে দুইবার জোয়ার ও দুইবার ভাঁটা হয়। নিচে কলকাতায় জোয়ার-ভাঁটার সাধারণ সময় ও বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো:


জোয়ার-ভাঁটার সময় (আনুমানিক)

জোয়ারের সময়: প্রতিদিন গড়ে ~৬ ঘণ্টা স্থায়ী হয়।


ভাঁটার সময়: প্রায় ~৬ ঘণ্টা স্থায়ী হয়।


জোয়ারের উচ্চতা: গড়ে ৪-৬ মিটার (বর্ষাকালে কম, শীতকালে বেশি)।


সময়সূচী (প্রতিদিন পরিবর্তনশীল)

জোয়ার-ভাঁটার সঠিক সময় চাঁদ ও সূর্যের অবস্থান, নদীর গভীরতা এবং ঋতুভেদে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত:


কলকাতায় জোয়ার সমুদ্রের জোয়ারের প্রায় ২-৩ ঘণ্টা পরে আসে।


উদাহরণস্বরূপ: যদি ডায়মন্ড হার্বারে জোয়ার সকাল ৮টায় হয়, তবে কলকাতায় তা আসবে ~১০-১১ টার মধ্যে।


জোয়ার-ভাঁটার সময় জানার উপায়

ভারতের জরিপ বিভাগের (Survey of India) প্রকাশিত জোয়ার-ভাঁটার টাইম টেবিল দেখুন।


Kolkata Port Trust বা ইন্টারনেটে বর্তমান দিনের জোয়ার-ভাঁটার সময় খোঁজা যায়।


মোবাইল অ্যাপ যেমন Tides Near Me বা Tide Chart ব্যবহার করুন।


গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বর্ষাকালে (জুন-সেপ্টেম্বর) জোয়ারের প্রভাব কম থাকে, কারণ নদীতে স্বাদু জলের প্রবাহ বেশি থাকে।


শীতকালে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) জোয়ারের প্রভাব বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে কিং টাইড (অমাবস্যা/পূর্ণিমায় সর্বোচ্চ জোয়ার)।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url