নিত্য পূজাবিধি: সঠিক নিয়ম ও সম্পূর্ণ পদ্ধতি

হিন্দু ধর্মে নিত্য পূজা বিধি হল দৈনিক সম্পাদিত পুজো করার প্রথা যা দেবতাগণ ও ঈশ্বরের উপাসনার একটি নিয়মিত পদ্ধতি।

নিত্য পূজাবিধি

প্রথমে পূর্ব বা উত্তর মুখে আসনে বসিয়া-রাত্রিকালে এবং শিবপূজায় উত্তর মুখে বসিয়া-দুইবার আচমন পূর্বক সামান্যার্ঘ্য স্থাপন করিবেন। যথা-নিজের বামভাগে কোশার তলায় ত্রিকোণ, তাহার বাহিরে গোলাকৃতি মণ্ডল, তাহার বাহিরে চতুষ্কোণ মণ্ডল জলদ্বারা আঁকিয়া তাহাতে-এতে গন্ধপুষ্পে ও আধারশক্তয়ে নমঃ (পুষ্পের অভাবে গন্ধ ও তণ্ডুল লইয়া এতে গন্ধাক্ষতে বলিবেন) মন্ত্রে পূজা করিয়া ফট্ মন্ত্রে জল দ্বারা কোশা ধুইয়া ঐ মণ্ডলের উপরে রাখিবেন, পরে নমঃ মন্ত্রে কোশায় ত্রিভাগ জলপূর্ণ করিয়া তাহার অগ্রভাগে একটি অর্ঘ্য (পুষ্প, চন্দন, আতপ-তন্ডুল, বিল্বপত্র ও দূর্বা) সাজাইয়া দিয়া অঙ্কুশমুদ্রায় জলশুদ্ধি করিবেন। মন্ত্র যথা-ও গঙ্গেচ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতী, নর্মদে সিন্ধুকাবেরি, জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু। জলে ও মন্ত্রে একটি তুলসীপত্র দিয়া হুং মন্ত্রে অবগুণ্ঠন মুদ্রা, বং মন্ত্রে ধেনুমুদ্রা দেখাইয়া, মৎস্যমুদ্রায় আচ্ছাদন করতঃ ও মন্ত্র বিষ্ণুপূজায় আটবার, শক্তিপূজায় দশবার জপ করিবেন। পরে ঐ জলের ছিটা নিজের মস্তকে ও অন্যান্য পূজার দ্রব্যে দিয়া-এতে গন্ধপুষ্পে ও দ্বারদেবতাভ্যো নমঃ মন্ত্রে দ্বারদেবতার পূজা কর্তব্য।

নিত্য পূজাবিধি pdf
নিত্য পূজাবিধি

পরে বিঘ্নন যথা-বামবায়ের গোড়ালি মাটির উপর ফট্ মন্ত্রে তিনবার ঠুকিয়া অস্ত্রায় ফট্ মন্ত্রে জল শূন্যমার্গে ছিটাইয়া ফট্ মন্ত্রে সাতবার তণ্ডুলের উপর জপান্তেঐ তণ্ডুল-ও অপসর্গন্ত তে ভূতা যে ভূতা ভূবি সংস্থিতাঃ। যে ভূতা বিঘ্নকর্তারন্তে নশ্যন্ত শিবাজ্ঞয়া-মন্ত্রে চারিদিকে ছড়াইয়া দিবেন। পরে আসনশুদ্ধি যথা-আসনের নিম্নে একটি ত্রিকোণমণ্ডল আঁকিয়া আসনের উপর-এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ হ্রীং আদারশক্তিকমলাসনায় নমঃ মন্ত্রে গন্ধপুষ্প দিয়া আসন দুই হস্ত স্পর্শ করিয়া-অস্যাসনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কুর্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনয়োগঃ। ওঁ পৃথ্বী ত্বয়া ধৃতা লোক দেবি ত্বং বিষ্ণুণা ধৃতা। তঞ্চ ধারয় মাং নিত্য পবিত্রং কুরু চাসনম্। অতঃপর গুরুপ্রণাম করিবেন। যথা- "দেবি! তুমি স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর দ্বারা ধারণা হয়ে আছো। আমাকেও তুমি ধারণ করো এবং এই আসনকে সর্বদা পবিত্র করে রাখো।" এরপর গুরুপ্রণাম করবেন নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে— প্রণাম ও করশুদ্ধির নিয়মঃ প্রথমে মস্তকের বামভাগে স্পর্শ করে এই মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক গুরুদের প্রণাম করবেন:

"গুরুভ্যঃ নমঃ। পরমগুরুভ্যঃ নমঃ। পরাপরগুরুভ্যঃ নমঃ।"

(অথবা, মতান্তরে: "পরমেষ্ঠীগুরুভ্যঃ নমঃ।")

এরপর মস্তকের দক্ষিণভাগে স্পর্শ করে বলবেন:

"গণেশায় নমঃ।"

পরিশেষে মস্তকের মধ্যভাগে স্পর্শ করে আরাধ্য দেবতার উদ্দেশ্যে বলবেন:

"অমুক দেবতায়ৈ নমঃ" — যেমন, "বিষ্ণবে নমঃ", "দুর্গায়ৈ নমঃ" ইত্যাদি।

এইভাবে যথানিয়মে প্রণাম সম্পন্ন করার পর, করশুদ্ধি করবেন নিম্নরূপ:

"ফট্" মন্ত্র উচ্চারণ করে একটি চন্দনলিপ্ত পুষ্প দুই করতলে মর্দন করে, সেই পুষ্পটি বামহস্তে ঘ্রাণ করে ঈশান কোণে ফেলবেন। পরে পুষ্পশদ্ধি-পুষ্পের উপর জলের ছিটা দিয়া-ও পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে। পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হুং ফট্ স্বাহা মন্ত্রে পুষ্প স্পর্শ (স্ত্রী ও শূদ্র এই মন্ত্র পড়িবেন না) করিবেন। দিগবন্ধন-বামকরতলের উপর দক্ষিণ করতলের তর্জনী ও মধ্যমায় ফট্ মন্ত্রে তিনবার আঘাত করিয়া মস্তকের দশদিকে পূর্বাদি-ক্রমে দশবার তুড়ি দিবেন। পরে সূর্যার্ঘ্যদান ও গণেশাদি দেবতার পূজা কর্তব্য। একটি অর্ঘ্য লইয়া-ওঁ নমো বিবস্বতে ব্রাহ্মন্ ভাষতে বিষ্ণুতেজসে। জগৎ কবিত্রে শুচয়ে সবিত্রে কর্মদায়িনে ইদমর্য্যং (যজুর্বেদী ও শূদ্র ত্রয়োহঃ) ও শ্রীসূর্যায় নমঃ। নমস্কার মন্ত্র-ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিং। ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম। এতে গন্ধপুষ্পে ও নমঃ শ্রীসূর্যায় নমঃ পরে এতে গন্ধপুষ্পে ও গণেশাদি পঞ্চদেবতাভ্যো নমঃ (কেহ কেহ ও গণেশায় নমঃ মন্ত্রে পূজা করিয়া শিবাদি পঞ্চদেবতাভ্যো মন্ত্রে পূজা করেন)। এতে গন্ধপুষ্পে ও দুর্গায়ৈ নমঃ এতে গন্ধপুষ্পে ও আদিত্যঅদি নবগ্রহেভ্যো নমঃ, এতে গন্ধপুষ্পে ও ইন্দ্রাদি দশদিকপালেভ্যো নমঃ, এতে গন্ধপুষ্পে ও গুরুভ্যো নমঃ, এতে গন্ধপুষ্পে ও মৎসাদি দশবতারেভ্যো নমঃ, এতে গন্ধপুষ্পে ও সর্বেভ্যো দেবেভ্যো নমঃ, এতে গন্ধপুষ্পে ও সর্বাভ্যো দেবীভ্যো নমঃ মন্ত্রে এক একটি সচন্দন পুষ্প দেবতার উদ্দেশ্যে দিবেন। শক্তিসত্বে গণেশাদিদেবতার পূজা দশোপচারে বা পঞ্চোপচারে ধান্যাদি পূর্বক করিবেন। গণেশের ধ্যান-যথা-ওঁ খর্ব, স্থূল দেহধারী, গজবদন, লম্বোদর, মনোমোহন রূপধারী, যাঁর গণ্ডস্থল সবসময় মদগন্ধে আকৃষ্ট ভ্রমরদের দল দ্বারা গুঞ্জরিত — সেই গণপতি, যিনি শত্রুদের রক্তে তাঁর দন্তের আঘাতে সিঁদুররঞ্জিত রূপে শোভিত, যিনি শৈলপুত্রী পার্বতীর পুত্র, সিদ্ধিদাতা, কামনা পূরণকারী — সেই গণপতিকে আমি প্রণাম করি। এই মন্ত্রে ধ্যান করে নিজের মস্তকে একটি পুষ্প অর্পণ করবেন। এরপর পুনরায় ধ্যান করে সেই দেবতাকে নিবেদন করবেন। পরে-এতঃ পাদ্যং ও গাং গণেশায় নমঃ, এতদাচমনীয় গঙ্গোদকম্ (গঙ্গাজল না হইলে এতৎ আচমনীয়জলং-এইরূপ অন্য স্থলেও জানিবেন) ও ইত্যাদি। এতৎ স্নানীয়গঙ্গোদকম্ (মান জল), পুনশ্চ আচমম এতৎ আচমনীয়গঙ্গোদকম্ (জল), এষঃ গন্ধঃ (চন্দন), এতৎ সচন্দন পুষ্পম্ (সচন্দন পুষ্প), এভৎ সচন্দনবিঘ্ন পত্রং (বিল্বপত্র দিবেন-তুলসী গণেশকে দিবেন না), এষঃ ধূপঃ (ধূপ না থাকিলে কেবল জল দিলেও ঐ মন্ত্র পাঠ্য, এইরূপ অন্যান্য দ্রব্যও জানিবেন), এষঃ দীপঃ, এতৎ নৈবেদং, এতৎ আচমনীয় গঙ্গোদকম্-পরে জলগণ্ডুষ পঞ্চপ্রাণমুদ্রা-ও প্রণায় স্বাহা, ও আপনার স্বাহা, ও ব্যানায় স্বহা, ওঁ উদনায় স্বাহা, ও সমানায় স্বাহা মন্ত্রে দেখাইয়া এতৎ পানার্থ গঙ্গোদকম্ (পানার্থ জল), এতৎ তাম্বুলং (পান), এতৎ পুনরাচমনীয় গঙ্গোদকম্ (জল) মন্ত্রে ঐ দ্রব্যগুলি দিয়া দশবার মন্ত্র জপ, জপসমার্পণ ও প্রণাম কর্তব্য।

প্রার্থনা মন্ত্র: ও দেবেন্দ্র মৌলিকন্দার মকরন্দকণারুণাঃ বিঘ্নং হরম্ভ হেরম্ব চরণাম্বুজরেণবঃ। মন্ত্রে প্রার্থনা করিয়অ প্রণাম করিবেন।

ও একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম্।

বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্।

পূর্ববৎ সামান্যার্ঘ্য হইতে সর্বদেবদেবীর পূজা পর্যন্ত করিয়া নারায়ণশিলাকে স্নান করাইবেন। এতৎ আচমনীয়জলম্ ও নমো নারায়ণায় নমঃ (আচমন জল), এতৎ স্থানীয়জলং ও নমো - ইত্যাদি। পরে শংখের জলে ও গঙ্গেচ ইত্যাদি মন্ত্রে তীর্থ আবাহন, হুং মন্ত্রে অবগুণ্ঠন, বং মন্ত্রে ধেণুমুদ্রা দেখাইয়া, মৎস্যমুদ্রায় জল আচ্ছাদন করত ও মন্ত্রে দশবার জপ করিয়া-ও জয়ধ্বনি মন্ত্র মাতঃ স্বাহা-মন্ত্রে ঘণ্টা পূজা করিয়া ঘণ্টাবাদ্যসহকারে শংখ লইয়া প্রদক্ষিণভাবে ঘুরাইয়া-ও সহস্রশীর্ষাপুরুষঃ সহস্রাক্ষ সহস্রপাঃ। সভূমিং সর্বতোবৃত্বাঃ (যজুর্বেদী, সবৃতঃ স্পৃত্বা, ঋগ্বেদী বিশ্বতো বৃত্বা বলিবেন) অত্যত্তিষ্ঠদ্দশাঙ্গুলম্ মন্ত্রে স্নান করাইবেন। কেহ কেহ এস্থলে বেদাদি মন্ত্র চতুষ্টয় ও সমগ্র পুরুষসূক্ত পাঠ করেন। পরে নির্মাল্য অপসারণ করিয়া ধৌতবস্ত্রে মুছাইয়া ক্রোড়ীক্তভাবে দুইটি সচন্দন তুলসী শালগ্রামশিলায় দিবেন (তলদেশে তুলসীর উপরে এবং উপরে তুলসীর উপরিভাগ থাকার নাম ক্রোড়ীকৃত), পরে ধ্যান যথা-ও ধ্যেয়ঃ সদা সবিতৃমণ্ডলমধ্যবর্তীনারায়ণঃ সরসিজাসনসন্নিবিষ্টঃ। কেয়ুরবান কনককুণ্ডলবান কিরিটিহারী হিরন্ময়বপূধূতশংখচক্র-ধ্যানান্তে নিজমস্তকে পুষ্পস্থাপন, স্বরূপচিন্তা; মানসোপচারে পূজা, সমর্থ হইলে বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন, পূন্যান ও ঐ পুষ্পটিতে বং মন্ত্রে দক্ষিণ নাসিকায় তেজ আনিয়া দেবতার মস্তকে স্থাপন করিয়া উপচার দ্রব্যের অর্চনা করিয়া লইবেন। এতৎ সম্প্রদানায় ও নমো নারায়ণায় নমঃ। পরে পাদ্যঅদি দান যথা-এতৎ পাদ্যং ওঁ নমো নারায়ণায় নমঃ ইত্যাদি রূপে সমস্ত নিবেদন করিয়া ও নমো নারায়ণায় এই অষ্টাক্ষর মন্ত্র জপ, জপসমর্পণ-ও গুহ্যাদিণ্ডহ্য গুপ্তাত্বং গৃহানাস্মাৎ কৃতং জপম্। সিদ্ধিভবতু মে দেব ত্বৎপ্রসাদাৎ জনার্দন। পরে স্তুতি পাঠ কর্তব্য-যথা-ও ধ্যেয়ং সদা পরিভবঘ্নমভীষ্টদোহং তীর্থাস্পদং শিববিরিঞ্চিসূতং শরণ্যম্।। ভূত্যার্তিহং-প্রণত পালভবাদ্ধিপোতং বন্দে মহাপুরুষ তে চরণারবিন্দম্। ত্যজ্বা সুদুস্ত্যজ-সুরেন্সিত-রাজ্যলক্ষীং ধর্মিষ্ট আর্যবচসা যদাগাদরণ্যম্ মায়ামৃগং দয়িতয়েন্সিতমন্বধাবস্ ঘন্দে মহাপুরুষ তে চরণারবিন্দম্। প্রণাম-ও নমো ব্রহ্মণা-দেবায় গোব্রাহ্মণ-হিতায় চ। জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমোঃ নমঃ। প্রণামার প্রণামান্তে ঈশান কোণে একটি ত্রিকোণ মণ্ডল করিয়া তদুপরি ইদং নির্মাল্যপুষ্পং বা নৈবেদ্যং ও বিশ্বকসেনায় নমঃ মন্ত্রে নির্মাল্য নিক্ষেপ করিবেন। 

অন্যান্য দেবদেবীর পূজা: একই প্রকার, কেবল মূল মন্ত্র, ধ‍্যান ও প্রণাম এবং স্তব বিভিন্ন। যথা-সূর্যের ধ্যান-ও রক্তাম্বুজাসনমশেষগুণৈকসিন্ধুং ভানুং সমস্তজগতামধিপং ভজামি। পদ্মদ্বয়াভয়বরান দধতং করাবৈজর্মাণিক্যমৌলিরুণাঙ্গরুচিং ত্রিনেত্রম্। পূজামন্ত্র-ওঁ হ্রীং হ্রীং শ্রীসূর্যায় নমঃ বা ওঁ শ্রীসূর্যায় নমঃ। জয়দুর্গার ধ্যান-ও কালাভ্রাভাং কটাক্ষেররিকুলভয়দাং মৌলিবন্ধেন্দুরেখাং শংখচক্রং কৃপাণং ত্রিশিখমপি করৈরুহস্তীং ত্রিনেত্রাম্। সিংহঙ্গন্ধাধিরূঢ়াং ত্রিভুবনমখিলং তেজসা পুরয়ন্তীং ধ্যায়দুর্গাং জয়াখ্যাং, ত্রিদশপরিবৃতাং সেবিতাং সিন্ধিকামৈঃ। 

পূজামন্ত্র: ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ অথবা ও দুর্গায়ৈ নমঃ।

 প্রণাম মন্ত্র: ও সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে। শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্ততে। স্তব-ওঁ দুর্গাং শিবাং শান্তিকরীং ব্রহ্মণীং ব্রহ্মণঃ প্রিয়াম্। সর্বলোকপ্রণেত্রীঞ্চ প্রণমামি সদা শিবায়॥” আমি সর্বদা সেই শান্তিদায়িনী, শুভ্রা, শিবা, ব্রহ্মজ্ঞানদায়িনী, ব্রাহ্মণদের প্রিয়া এবং সমস্ত জগৎকে রচনা ও পরিচালনা করেন, সেই দেবী দুর্গাকে প্রণাম করি।“মঙ্গলাং শোভনাং শুদ্ধাং নিষ্কলাং পরমাং কলাম্। বিশ্বেশ্বরীং বিশ্বমাতাং চণ্ডিকাং প্রণমাম্যহম্॥”

আমি সেই সর্বমঙ্গলময়ী, পবিত্র, অদ্বৈত, শ্রেষ্ঠ কলারূপিণী, বিশ্বেশ্বরী এবং বিশ্বজননী চণ্ডিকাকে প্রণাম জানাই।

“সর্বদেবময়ীং দেবীং সর্বলোকভয়াপহাম্।

ব্রহ্মেশবিষ্ণু নমিতাং প্রণমামি সদা উমাম্॥”

যিনি সকল দেবতাদের রূপে বিরাজমান, যিনি সর্বলোকে ভয় দূর করেন, যাঁকে ব্রহ্মা ও বিষ্ণুও নমস্কার করেন, সেই উমাদেবীকে আমি সদা প্রণাম করি।

“বিন্ধ্যস্থাং বিন্ধ্যানিলায়াং দিব্যস্থাননিবাসিনী।

যোগিনীং যোগমায়াঞ্চ চণ্ডিকাং প্রণমাম্যহম্॥”

আমি প্রণাম করি সেই চণ্ডিকাকে, যিনি বিন্ধ্য পর্বতে অধিষ্ঠিতা, যাঁর বাসস্থান দিব্য, যিনি যোগিনী এবং যোগমায়া।

“ইশানমাতরং দেবীমীশ্বরীমীশ্বরপ্রীয়াম্।

প্রণতোহস্মি সদা দুর্গাং সংসারার্ণবতারিণীম্॥”

আমি সর্বদা সেই দুর্গাদেবীকে প্রণাম করি, যিনি ইশ্বরের প্রিয়া, দেবী, এবং সংসার-সমুদ্র থেকে পার করান।

“য ইদং পঠতি স্তোত্রং শৃণুয়াদ্ বা আপি যো নরঃ।

স মুক্তঃ সর্বপাপৈস্ত মোদতে দুর্গয়া সহ॥”

যে ব্যক্তি এই স্তোত্র পাঠ করে বা শ্রবণ করে, সে সকল পাপ থেকে মুক্ত হয় এবং দুর্গার সঙ্গে আনন্দ লাভ করে।“ইতি কুজিকাতন্ত্রে দুর্গাস্তোত্রং সমাপ্তম্॥”

এইভাবে কুজিকাতন্ত্রে দুর্গাস্তোত্র সমাপ্ত হলো।

 পুষ্পাঞ্জলি দানমন্ত্র: ও চন্দনেন সমালঙ্কে কুন্ডুমেন বিলোপিতে বিল্বপত্রকৃত্যপীড়ে দুর্গেহহং শরণং গতঃ (স্ত্রীলোকেও শরণং গতঃ বলিবেন, 'গতা' নহে) এষঃ সচন্দনপুষ্পাঞ্জলিঃ ও দুর্গায়ৈ নমঃ (স্ত্রী ও শূদ্র নমো দুর্গায়ৈ নমঃ)। ষষ্ঠীর ধ্যান: ও দ্বিভুজাং হেমগৌরাঙ্গীং রত্নালঙ্কারভূষিতাম্। বরদাভয়হস্তাঞ্চ শরচ্চন্দ্রনিভাননাম্। পট্টবস্ত্র (গীতবস্ত্র পাঠান্তর): পরীদানাং পীনোন্নত পয়োধরাম্। অঙ্কার্পিতসুতাং ষষ্ঠমন্ত্রজহাং বিচিন্তয়েৎ। পূজামন্ত্র: ও যাং যষ্ঠ্যৈ নমঃ বা ও ষষ্ঠীদেব্যৈ নমঃ। প্রার্থনামন্ত্র: ও আয়ুদেহী যশো দেহি ভাগ্যংভগবতি দেহি মে। পুত্রান দেহি ধনং দেহি সর্বান্ কামাং দেহি মোঃ 

প্রণাম মন্ত্র: ও জয় দেবি জগন্নাতর্জগদানন্দকারিণি। প্রসীদ ম্ কল্যাণি নমস্তে ষষ্ঠীদেবিকে। 

মার্কগুয়ের ধ্যান: ও দ্বিভুজং জটিল সৌম্যং সুবৃদ্ধং চিরজীবিনম্। মার্কেণ্ডেয়ং নরো ভক্ত্যা পূজয়েৎ প্রযতস্ততা। দণ্ডাক্ষসুত্রহস্ত ঞ্চ মার্কেণ্ডেয়াং বিচিন্তয়েৎ। পূজামন্ত্র: ও মার্কণ্ডেয়ায় নমঃ। প্রার্থনা মন্ত্র: ও চিরজীবি যথা ত্বং ভো ভবিষ্যামি তথা মুনে। রূপবান বিত্তবাংশ্চৈব শ্রিয়াযুক্তশ্চ সর্বদা। প্রণাম মন্ত্র: ও মার্কণ্ডেয় মহাভাগ সপ্তকল্পান্তজীবন। আয়ুরিষ্টার্থসিদ্ধার্থমম্মাকং বরদো ভব।

মনসাদেবীর ধ্যান: ও দেবীমন্বামহিনাং শশধরবদনাং চারুকান্তিং বদন্যাং হংসারঢ়ামুদারাং সুললিতবসনাং সেবিতাং সিদ্ধিকামে। স্মেরাস্যাং মণ্ডিতাঙ্গীং কনকমণিগণৈর্নাগরত্মৈরনেকৈবন্দেহং সাষ্টনাগামুরুকুচযুগলাং ভোগিনীং কামরূপাম্। অষ্টনাগ পূজা যথা: ও অনন্তার নমঃ, এইরূপে বাসুকয়ে, পদ্যায়, মহাপদ্মায়, তক্ষতায়, কর্কোটকায়, কুলীরায়, শংখায়। মনসাদেবীর পূজামন্ত্র: ও মাং মনসাদেব্যৈ নমঃ অথবা ও মনসাদেব্যৈ নমঃ। প্রণাম মন্ত্র: ও আস্তিকস্য মুনের্মাতা ভগিনী বাসুকেস্তথা। জরৎকারুমুনেঃ পত্নী মনসাদেবী নমোহস্তুতে। ওঁ আস্তিকমুনয়ে নমঃ, ওঁ জরঃকারু মুনয়ে নমঃ মন্ত্রে ইহাদের পূজা করিবেন।

লক্ষ্মীর ধ্যান: ও পাশাক্ষমালিকাােজ শৃণিভির্যাম্যসৌম্যয়োঃ। পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্। গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ সর্বালঙ্গারভূষিতাম্। রৌপদ্মব্যাকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু। পূজামন্ত্র: ও শ্রীলক্ষ্যৈ নমঃ। প্রার্থনামন্ত্র: ও নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে। যা গতিস্তঃপ্রপন্নানাং সা মে ভুয়াত্বদর্চনাঃ। স্তব-ও ত্রৈলোক্যপূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে। যথাতুমচলা কৃষ্ণে তথা ভব ময়া স্থিরা। ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতিহরিপ্রিয়া। পদ্মা পদ্মলয়া সম্পঃসৃষ্টিঃ শ্রীঃ পদ্মধারিণী। দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য মঃ পঠেৎ। স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেত্তস্য পুত্রদারাদিভিঃসহ। প্রণাম মন্ত্র: ও বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে। সর্বতঃ পাহি মাং নিত্যং মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে।

কুবেরের ধ্যান ও পূজাপদ্ধতি:

ধ্যানঃ

"কেয়ুবকুণ্ডলধরং দ্বিভুজং বিশদপ্রভম্।

কিরীটিনং ধনাধ্যক্ষং গদাধরমহং ভজে॥"

অর্থাৎ—

আমি ধ্যান করি সেই কুবের দেবতাকে, যিনি কুণ্ডল পরিহিত, দ্বিভুজ, উজ্জ্বল কান্তিযুক্ত, কিরীটধারী এবং গদা ধারণকারী; যিনি ধন-সম্পদের অধিপতি।

পূজামন্ত্রঃ

"ওঁ কুবেরায় নমঃ।"


ইন্দ্রের ধ্যান: ও চতুর্দন্তগজারুঢ়ঃ রজ্রপাণিঃ পুরন্দরঃ। শচীপতিশ্চ ধাতব্যো তব্যো নানাভরণভূষিতঃ। পূজামন্ত্র ও লাং ইন্দ্রায় নমঃ। প্রণাম মন্ত্র: ও বিচিত্রেরাবতস্থায় ভাস্বৎকুলিশপাণয়ে পৌলোম্যালিঙ্গিতাঙ্গায় সহস্রাক্ষায় তে নয়ঃ।


বাস্তুপুরুষের ধ্যান; ও অরুণিতমণিবর্ণং কুগুলোভাসিতকর্ণং হসিত সুভগবজ্রং দণ্ডপাণিং সুবেশম্। নিখিল জননিবাসং বিশ্ববীজস্বরূপং নতজনভয়নাশং বাস্তুদেবং ভজামি। পুজামন্ত্র: ও বাস্তুপুরুষায় নমঃ। প্রণাম মন্ত্র: ও সর্বে বাস্তুময়া দেবাঃ সর্বং বস্তুময়ং জগৎ। পৃথিধরস্তু বিজ্ঞেয়ো বাস্তুদেব নমোহস্তুতে। গোপালের ধ্যান: ও গোধূলী ধূসরতনুং কমনীয়মূর্তিমম্ভোজলোচন-মনুত্তমবেনুবাদম্। গোপালজালকৃতর জুনিবদ্ধকেশং গোপালবেশমনিশং হৃদি ভাবয়াদি। 

পূজা মন্ত্র: ও গোপালয় নমঃ। 

প্রণাম মন্ত্র: ও নবীননীরদশ্যাম নীলেন্দীবরলোচনম্ বল্লভীনন্দনং বন্দে কৃষ্ণং গোপালরূপিনম্।

সরস্বতী ধ্যান ও পূজাপদ্ধতি 

ধ্যানঃ

"তরুণশশিকলানিভা তথা শুভ্রকান্তিঃ।

কুচভরণমিতাঙ্গী সন্নিষন্না কুজে।

নিজকরকমলোদ্যল্লেখনী-পুস্তকর্ত্রী।

সকলবিভবসিন্ধ্যৈ পাতু বাগদেবতা নঃ॥"

অর্থ:

যিনি তরুণ চাঁদের কিরণের মতো শুভ্রকান্তি সম্পন্ন,

যার শরীর মনোহর ও গাম্ভীর্যময়,

যিনি শ্বেত পদ্মাসনে উপবিষ্ট, হাতে পুস্তক ও লেখনী ধারণ করেন—

সেই বাগদেবী সরস্বতী আমাদের রক্ষা করুন ও জ্ঞান-প্রেরণা দিন।

পূজামন্ত্রঃ

"ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ।"

মঙ্গলচণ্ডীর ধ্যান: ও যৈষা ললিতকান্তাখ্যা দেবী মঙ্গলচণ্ডীকে। বরদাভয়হস্তাচ দ্বিভুজা গৌরদোহিকাঃ রক্তপদ্মাসনাস্থা চ মুকুটোজ্জলমণ্ডিত। রক্তকৌষেয়বসনাস্মিতবক্তা শুভাননা। নবযৌবনসম্পন্না চার্বঙ্গী ললিতপ্রভা। পূজামন্ত্র-ওঁ হ্রীং মঙ্গলচণ্ডিকায়ৈ নমঃ। প্রণাম মন্ত্র: সর্বমঙ্গল ইত্যাদি। আবরণ পূজা ও ললিতকান্তায়ৈ নমঃ ওঁ দিককারবাসিন্যৈ নমঃ। শীতলায় ধ্যান: ও সুর্পালদ্ভুতমস্তকাং সুরগণৈঃ সংস্তয়মানাং মুদা, বামে, কুম্ভ ধরাং সরোজবদনাং বন্দে খরস্থাং সদা। দিগবাসামুরুহাস-সুন্দরমুখীং সম্মার্জনীং দক্ষিণে পানৌ তাং ধধতীং ভয়াতিশমনীং সংসারবিদ্রাবিণীম্ মূলমন্ত্র-ও শ্রীশ্রীতলায়ৈ স্বাহা। পুজা মন্ত্র শীতলায়ৈ নমঃ। নৈবেদ্যাদনের মন্ত্র: শীতলে পঞ্চপান্ন-দধ্যোদনবুতং শুভম্। নৈবেদ্যং গৃহত্যাং দেবি ঘৃতমিশ্রঞ্চ সুন্দরি। প্রার্থনা মন্ত্র: ও শীতলে দহ মে পাপং পুত্রপৌত্রসুখপ্রদে। ধনধান্যেপ্রদে দেবি পূজাং গহ্ন নমোহস্তুতে। প্রণাম মন্ত্র: ও নমামি শীতলাং দেবীং রাসভস্থাং দিগম্বরীম্। মার্জনীকলসোপেতাং সূর্পালঙ্কৃতমস্তকাম্। দক্ষিণকালকির ধ্যান: ও মেঘাঙ্গীং বিগতাম্বরাং শবশিবারূঢ়াং ত্রিনেত্রাং পরাং কর্ণলম্বীতবাণযুগ্মভয়দাং মুণ্ডদ্রজাং মালিনীম্। বামাধোর্ধ্বকরামুজে নরশিরঃ খড় গঞ্চ সব্যেতরে, দানবভীতিবিমুক্তকেশনিচয়াং বন্দে সদা কালিকাম্। বীজমন্ত্র ক্রীং। ২২ অক্ষর মন্ত্রে পূজা হইলে ও করালবদনাম ইত্যাদি ধ্যান হইবে। পূজামন্ত্র: ক্রীং এতৎ পাদ্যং শ্রীদক্ষিণকালিকায়ে নমঃ ইত্যাদি। প্রণাম মন্ত্র ও সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিলে শিবে সর্বার্থসাধিকে শর শরণ্যে ত্রস্বকে 'গৌরি নারায়ণি নমোহস্তুতে। মহাকালের ধ্যান: ও মহাকালং যজেদদেব্যা দক্ষিণে ধূমবর্ণকম্। বিভ্রতং দণ্ড খটাঙ্গৌ-দংষ্ট্রাভীমমুখং শিশুম। ব্যঘ্রচর্মাবৃতকটীং তুন্দিলং রক্তবাসসম্। ত্রিনেত্রমুর্ধ্বকেশঞ্চ, মুণ্ডমালাবিভূষিতত্ব। জটাভার লসচ্চন্দ্রখণ্ডমুগ্রং জলন্নিভম্। মূলমন্ত্র: হুং ক্রৌং যাং রাং লাং বাং আং ক্রোং মহাকালভৈরব সর্ব বিঘ্নান্ নাশয় হ্রীং শ্রীং ফট্ স্বাহা।

জগদ্ধাত্রীর ধ্যান: ও সিংহঙ্কন্ধাবিসংরূঢ়াং নানালঙ্কারভূষিতাং। চতুর্ভুজাং মহাদেবীং বাগযজ্ঞোপবীতিনীম্। শংখচক্রধনুর্বাণ লোচনত্রিতয়ান্বিতাম্। রক্তবস্ত্র পরিধানাং বালার্কসদৃশীতনুম্। নারদাদ্যৈমুনির্গণৈঃ সেবিতাং ভবসুন্দরীম্। ত্রিবলীবলয়োপেতনাভিনালমৃণালিনীম্। রত্নদ্বীপময়ে দ্বীপে সিংহাসনসমন্বিতে। প্রফুল্লকমলারূঢ়াং ধ্যায়েতাং ভবগেহিনীম। পূজা মন্ত্র: দুং এতৎ পাদ্যং শ্রীজগন্ধাত্রৈ দুগৃায়ৈ নমঃ ইত্যাদি।

অন্নপূর্ণায় ধ্যান: ও রক্তাং বিচিত্রবসনাং নবচন্দ্রচূড়ামন্ন প্রদাননিরতাং স্তনভারনম্রাম্। নৃত্যন্ত মিন্দুশকলাভরণং বিলোক্য হৃষ্টাং ভজে ভগবতীং ভবদুঃখস্ত্রীম্। পূজা মন্ত্র-হ্রীং নমো ভগবতি মাহেম্বরি অন্নপূর্ণে স্বাহা এতৎ পাদ্যং শ্রীঅন্নপূর্ণায়ৈ নমঃ।

চন্ডীর ধ্যান: ও যা চণ্ডি মধু কৈটভাদি দৈত্যদলনী, যা মাহিষোনুলনীম্, যা ধূম্রেক্ষণ-চণ্ডমুণ্ডমথনী যা রক্তবীজাশনী। শক্তিঃ শুম্ভ-নিশুম্ভ-দৈত্যদলনী যা সিদ্ধিলক্ষ্মীশ্বরী যা দেবী নবকোটি। মূর্তিসাহিতামায় পাতু বিশ্বেশ্বরী।

পূজামন্ত্র: ও ঐংহ্রীং ক্লীং হলীং হ্রীং ক্লীং নমঃ। এতৎপাদ্যং ওঁ চণ্ডিকায়ৈ নমঃ।

কার্তিকের ধ্যান: ও সিন্দুবারুণমিন্দুকান্তবদনং কেয়ুরহারাদিভি, দিব্যৈ-রাভরণৈবিভূষিততনুং স্বর্গাদিসৌখ্যপ্রদম্। অম্ভোজাভয়-শক্তিকুকুটধরং রক্তাঙ্গরাগাংশুকং সুব্রাহ্মণ্যমুনাস্মহে প্রণমতাং ভীতিপ্রণাশে, দ্যতম্।

পূজামন্ত্র: ও কাং কার্তিকেয়অয় নমঃ।

প্রণাম মন্ত্র: ও কার্তিকেয়ায় নমস্যামি গৌরিপুত্রং সুতপ্রদম্। ষড়াননং মহাভাগ। দৈত্যদর্পনিসুদনম্।

 বিশ্বকর্মা দেবতার ধ্যান ও পূজাপদ্ধতি 

ধ্যানঃ

"দংশপাল মহাবীর সুচিত্র-কর্মকারকঃ।

বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃক্ চৈব বাসনাং ন দণ্ডধূক্॥"

অর্থঃ

আমি ধ্যান করি সেই বিশ্বকর্মা দেবতাকে, যিনি দংশপাল ও মহাবীর,

যিনি চমৎকার শিল্পকর্ম রচয়িতা, বিশ্ব নির্মাতা ও ধারক,

যিনি বাসনা ত্যাগী এবং শাস্তি প্রয়োগে নিয়োজিত নন।

পূজামন্ত্রঃ

"ওঁ শিল্পাচার্যায় দেবায় নমঃ।

ওঁ বিশ্বকর্মণে স্বাহা।

ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।"

প্রণাম মন্ত্রঃ

"ওঁ শিল্পাচার্য মহাভাগ! দেবানাং কার্যসাধক।

বিশ্বকর্মন নমস্তুভ্যং, সর্বাশ্টভীপ্রদায়ক॥"

শনৈশ্চয়ের ধ্যান: ও সৌরাষ্ট্রং কাশ্যপং শূদ্রং সূর্যাস্যং চতুরঙ্গুলম্। কৃষ্ণং কৃষ্ণাস্বয়ং গৃদ্ধং! গতং সৌরিং চতুর্ভুজন। ভাস্বদ্বাণধরং শূলধনুর্হন্তং সমাহবয়েৎ। যমাধিদৈবং ধ্যায়ে। প্রজাপতিপ্রত্যধিদৈবতম্। প্রার্থনা মন্ত্র: ও নীলাঞ্জনদলশ্যাম ভিন্নাঞ্জনদলপ্রভঃ। শনেশ্চরগ্রহঃ পুংসাং সদা শান্তিং প্রযচ্ছতু। প্রণাম মন্ত্র ও নীলাঞ্জনচয়প্রখ্যং রবিসুনং মহাগ্রহম্। ছায়ায়। গর্ভসম্ভূতং বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম্। 

নিত্য পূজা করা হিন্দুদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই কর্মের ফলে মানুষ ইহকাল থেকে পরকালে সুখ লাভ করে আসুন আমরা সকলেই নৃত্যকর্মে লিপ্ত হই অর্থাৎ দৈনন্দিন ধর্মীয় কর্মগুলো আছে সেগুলো আমরা নিয়মিত করি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url