Posts

Showing posts from April, 2025

সিডিশ্রী হর পার্বতী সংবাদ রাজাদি আনয়ন ও বর্ষ চক্র গণনা

Image
হিন্দু পুরাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো হরপার্বতী সংবাদ" (Har-Parvati Sambad) , যেখানে ভগবান শিব কে হর রূপে এবং দেবী পার্বতীকে সংবাদ রূপে প্রকাশ করা হয়েছে । হর পার্বতী সংবাদ সাধারণত শিব পুরাণ এসকুন্দপুরাণ বা অন্যান্য তন্ত্র গ্রন্থ গুলিতে পাওয়া যায় এবং এই সংলাপ গুলি ধর্মীয় আধ্যাত্মিক এবং দার্শনিক জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়ে থাকে।  হর-পার্বতী ওঁ নমঃ শ্রী সূৰ্য্যায় নমঃ। শুভমন্ত্র। শকাব্দাঃ ১৯৪৭। সংবৎ ২০৮২-৮৩। বাংলা সন ১৪৩২। ইংরাজী ২০২৫-২৬। ভারতীয় শকাব্দাঃ ১৯৪৭-৪৮। ফসলী ও আমলী ১৪৩২-৩৩। হিজরী ১৪৪৬-৪৭। অসমীয়া (ভাস্করাব্দাঃ) ১৪৩২। ত্রিপুরাব্দাঃ ১৪৩৫। মগী ১৩৮৭-৮৮। বুদ্ধাব্দাঃ ২৫৬৮-৬৯। শ্রীশঙ্করাব্দাঃ ৫৭৬-৭৭। শ্রী নানকাব্দাঃ ৫৫৬-৫৭। শ্রীশ্রীচৈতন্যাব্দাঃ ৫৪০-৪১। কল্যাব্দাঃ ৫১২৬। কোল্লামাব্দাঃ ১২০০-১২০১। অনুকূলাব্দাঃ ৭৯-৮০, মহাবীর নির্বাণাব্দাঃ ২৫৫১-৫২। নিম্বার্কান্দাঃ ৫১২০-২১। শ্রীশ্রীহরপার্ব্বতী সংবাদ কৈলাস শিখরে রম্যে গৌরী পৃচ্ছতি শঙ্করম্।  অধুনা রুহি মে নাথ নবপল্লী ফলাফলম্ ॥ হর প্রতি প্রিয়ভাবে কন হৈমবতী। কোন্ গ্রহ রাজা হৈল কেবা মন্ত্রীবর। ভব কন্ ভবানীকে কহি বিবরণ। রাজাদি আনয়ন বৃ...

হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা যায় কি? বিস্তারিত জানুন ধর্মান্তরের নিয়ম

Image
অন্য ধর্মের অনুসারীরা হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে পারেন তবে এটি একটি আন্তরিক ও আন্তদৃষ্টি মূলক প্রক্রিয়া যা   কেবলমাত্র বাহ্যিক কোন আসার অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ বা বাধ্যবাধকতা মূলক ধর্মান্তর প্রিয়া নেই । কারণ হিসেবে হিন্দু ধর্ম স্বতঃস্ফূর্ত এবং বিশ্বাসভিত্তিক   প্রাচীন একটি ধর্ম । আপনি যদি এ ধর্ম গ্রহণ করতে চান তাহলে প্রচলিত কিছু ধাপ ও দৃষ্টিভঙ্গি   প্রদান   করা হল তবে এর আগে প্রাথমিক   কিছু আলোচনা করা প্রয়োজন । হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা যায় কি বিস্তারিত জানুন ধর্মান্তরের নিয়ম হিন্দু ধর্ম গ্রহণ   পদ্ধতি   সম্পর্কে প্রাথমিক   আলোচনা : আমরা সকলেই জানি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম হল সনাতন বা হিন্দু ধর্ম। সকল ধর্ম, মত,পথ এবং উপাসনা পদ্ধতি এসব সবকিছুরই প্রধান মুখ হচ্ছে হিন্দু ধর্ম। যেহেতু পৃথিবীর একটি সময় থেকে হিন্দু ধর্ম একমাত্র ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম ছিল না তাই সে সময়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কে ধর্মান্তরিত করার তেমন কোন প্রথা ছিল ন...

দেবী ত্রিপুরেশ্বরী: মন্দির, ইতিহাস, পূজা বিধি ও মহিমা বিস্তারিত

Image
দেবী ত্রিপুরেশ্বরীর ইতিহাস সতীর দেহত্যাগের পর দেবাদিদের মহাদেব রণং দেহি মূর্তিতে সতীর নিথর দেহটাকে নিজ স্কন্ধে তুলে নিয়ে বেরোলেন বিশ্বপরিক্রমায়। স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল কেঁপে উঠল। সৃষ্টি বুঝি ধ্বংস হয়ে যায়। মহাদেবের রণং দেহি রূপ দেখে ও তাঁকে শান্ত করার উদ্দেশ্যে বিষ্ণু নিজ চক্র দ্বারা সতীর দেহ খণ্ড বিখণ্ড করলেন। সতীর দেহাংশগুলি যেখানে যেখানে পড়েছিল, সেইসব স্থানে এক একটি পীঠস্থান হলো। সতীর মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য শিবও বিভিন্ন নামে এইসব মহাপীঠে এক একটি ভৈরব্যগ্রপে আবির্ভাব হলেন। দেবী ত্রিপুরেশ্বরী   ত্রিপুরাতেও শিব ত্রিপুরেশ ভৈরব রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। আজও এই ত্রিপুরেশ ভৈরব ভক্তগণের নিকট মহাতীর্থস্থান। ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুর শহরের অদূরে মাতাবাড়িতে অনুচ্চ ডিলার উপর অবস্থিত এই পীঠস্থান। এখানে পতিত হয় দেবীর দক্ষিণ পাদ। দেবীর নাম ত্রিপুরসুন্দরী। ভৈরব হলেন ত্রিপুরেশ। ত্রিপুরেশ্বরী দেবীর প্রস্তরময় মূর্তিটি কষ্টিপাথরে খোদাই করা। তিনি শবহৃদি পরে দণ্ডায়মান। চারিখানি হাত। হাতে বরাভয়, অসি ও নরমুণ্ড শোভা পাচ্ছে। গলায় দোদুল্যমান নুমুণ্ডমালা। দেবীর জিয়াটি কিন্তু রক্তবর্ণের নয়। তার কারণ হলো-দেবীর কালী মূ...

কোন মাসে গঙ্গা স্নান সবচেয়ে পুণ্যময়? জায়গা ও সময়ের তালিকা

Image
১৫ই বৈশাখ ব্যতীপাতযোগ, গঙ্গাস্নানে ত্রিকোটি কুলোদ্ধারণ ফল। ১৬ই বৈশাখ অক্ষয় তৃতীয়া, স্নানদানে অক্ষয় পুণ্যফল। ১৬ই বৈশাখ রোহিণীনক্ষত্রযুক্ত বৈশাখী শুক্লা তৃতীয়া, গঙ্গাস্নানে ও দানে অক্ষয় ও অনন্তপুণ্যফল। ২০শে বৈশাখ জসপ্তমী, স্নানদানে শতগুণ ফুল। ২১শে জ্যৈষ্ঠ দশহরা স্নান, কেবল দশমীতে দশবিধ পাপক্ষয় কামনা পুরুকি গঙ্গাস্নান কর্তব্য। ২১শে জৈাঠ হস্তানক্ষত্রযুক্ত দশমীতে দশজন্মার্জিত দশবিধ পাপক্ষর ফল। ২৩শে জ্যৈষ্ঠ শ্রীরামদ্বাদশী/চম্পকয়াল্লীতে যমুনা নদীতে স্নান ও পিণ্ডদানে বিশেষ ফললাভ। গঙ্গা স্নানের ছবি ২৭শে জ্যৈষ্ঠ জ্যেষ্ঠানক্ষত্রযুক্ত জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমায় গঙ্গামানে সবর্ণপাপক্ষয়ফল ও পুরুষোত্তম দর্শনে একোবিংশতি কুলোম্বরণ কামপূর্ব্বক বিষ্ণুলোক গমন ফল ও অক্ষয়পদ প্রাপ্তিলাভ। ১২ই ভাদ্র অক্ষয়বর্তী, মানদানে অক্ষয় পুণ্যফল। ১৮ই ভাত্র বামনজয়ন্তীতে গঙ্গাস্নান। ২১শে ভাদ্র পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, আনদানে কোটিগুণফল। ২রা কার্তিক চতুর্দশ যমতর্পণে নিবাস্নান কর্তব্য। ৪ঠা কার্তিক দ্যুতপ্রতিপদ, মানদানে শতগুণ হল। ১৩ই ফার্ডিক রাত্রি ৩।২৫ হইতে ১৮ই কার্তিক রাত্রি ৭৮ মধ্যে বকপঞ্চক স্নান, বকপঞ্চক মধ্যে নদীর শীতল জলে স্নান কর্...

তর্পণ বিধি: পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধে জলের অর্ঘ্য প্রদানের পদ্ধতি

Image
তর্পণ দুই প্রকার-নিত্য ও স্নানাঙ্গ। স্নানের পর যে তর্পণ করা হয় তাহা স্নানাঙ্গ, তদ্‌ভিন্ন অন্যকালের তর্পণ নিতা। স্নানাঙ্গ তর্পণ করিলে আর নিত্য তর্পণ করিতে হয় না, কিন্তু নিত্য তর্পণের পর তীর্থপ্রাপ্তি বা গ্রহণাদিযোগে স্নান করিবার পর পুনশ্চ স্নানাঙ্গ তর্পণ করিতে হয়। উপনীত দ্বিজাতি ও বিবাহিত শূদ্র পিতৃহীন হইলে (সপিগুনের পর) তর্পণ করিবেন, দেহাশৌচে পিতৃতর্পণ নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রেততর্পণে সকলের সব সময় অধিকার আছে। বিধবা স্ত্রীলোক, পুত্র, পেত্র, প্রপৌত্রের অভাবে স্বামী, শ্বশুর ও আর্যশ্বশুরের মাত্র তর্পণ করিবেন। ভিজা কাপড়ে জলে দাঁড়াইয়া ও শুষ্ক বস্ত্রে স্থলে বসিয়া এক পা জলে ও অপর পা স্থলে রাখিয়া পূর্ব বা উত্তর মুখে দুইবার আচমন পূর্বক পূর্বমুখে উপবীতী (বাম কাঁধে যজ্ঞোপবীত রাখিয়া) হইয়া দেবতর্পণ করিবেন। যথা-ওঁ ব্রহ্মা তৃপ্যতাম (শূদ্র সর্বত্র ও স্থলে নমঃ এবং ঋগবেদী ব্রাহ্মণ তৃপ্যতাম্ স্থলে। তৃপ্যতু বলিবেন)। ও বিষ্ণুস্তূপ্যতাম্, ও রুদ্রস্তূপ্যতাম্, ও প্রজাপতিস্তূপ্যতাম্ মন্ত্রে দেবতীর্থ (সমস্ত অঙ্গুলির অগ্রভাগ) দ্বারা দুই হাতে এক এক অঞ্জলী জল দিবেন। এইরূপে ও দেবাযক্ষান্ত থানাগা গন্ধর্বাপসরসোহসুরাঃ। ক্রু...

নিত্য কর্ম পদ্ধতি : ব্রাহ্মমুহূর্ত থেকে রাত্রিশয্যা পর্যন্ত পালনীয় নিয়ম ও গুরুত্ব

Image
নিত্য কর্ম পদ্ধতি যাহা না করিলে পাপী হইতে হয় তাহার নাম নিত্যকর্ম। যেমন-সন্ধ্যা, তর্পণ, শ্রাদ্ধ প্রভৃতি। তিথি, বার, মাস ও নক্ষত্রাদি নিমিত্ত, পিতৃমরণাদি নিমিত্ত, গ্রহদোষ নিমিত্ত এবং দুঃস্বপ্ন দর্শনাদি নিমিত্ত যে সকল কার্য শাস্ত্রবিহিত আছে তাহা নৈমিত্তিক। নিত্যকর্ম নিত্যই অনুষ্ঠান করিতে হয়।  অহোরাত্রের মধ্যে ছয়টি কৃত্য আছে। যথা-(১) প্রাতঃকৃত্য, (২) পূর্বাহ্নকৃত্য, (৩) মধ্যাহ্নকৃত্য, (৪) অপরাহকৃত্য, (৫) সায়াহ্নকৃত্য, (৬) রাবিকৃত্য। হিন্দু ধর্মালম্বীদের দৈনন্দিন কাজের সঠিক নিয়ম প্রাতঃকৃত্য: সূর্যোদয়ের পূর্বে চারিদণ্ডকাল দিবাভাগের মধ্যে গণ্য, তন্মধ্যে প্রথম দই দণ্ড ব্রাহ্মমুহূর্ত, শেষ দুই দণ্ড রৌদ্রমুহূর্ত। ব্রাহ্মমুহূর্তে উঠিয়া সকল জাতিই শয্যার উপর বসিয়া পূর্ব। বা উত্তরমুখে নিম্নোক্ত শ্লোকগুলি পাঠ করিবেন। যথা- নিত্য কর্ম পদ্ধতি (১) ব্রহ্মামুরাধী ত্রিপুরাস্তকারী ভানুঃ শশী ভূমিসুতো বধণ্ড। গুরুশ্চ শুক্রঃ শনিয়াহুকেতু কুর্বঘ্ন সর্বে মম সুপ্রভাতম্।  (২) প্রভাবে যঃ স্বরেন্নিত্যং দুর্গাদুণাক্ষরদ্ব্যাম্। আপদস্তস্য নশ্যন্তি তমঃ সূর্যোদয়ে যথা।  (৩) কালীতারা মহাবিদ্যা ষোড়শী ভুবনেশ্বরী। ...